সুরেন্দ্র পি গাঙ্গন
এই কদিন আগে মাত্র গলাগলি করে একসঙ্গে সরকার গড়েছিল একনাথ শিন্ডের শিবির এবং বিজেপি। বেসি বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও বিজেপির তরফে একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। তবে এরই মধ্যে দুই শিবিরের মধ্যে অশান্তি লেগে গিয়েছে বলে জল্পনা শুরু হল। দুই শিবিরের মধ্যে অসন্তোষের কারণ ক্ষমতা সম্প্রসারণের ‘লোভ’। কয়েকদিন আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে দাবি করেন যে রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। এদিকে বিজেপির তরফে ঘোষণা করা হয় যে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বুলধানা থেকে তারা প্রার্থী দাঁড় করাবে। যদিও এই আসনের বর্তমান শিবসেনা সাংসদ শিন্ডে গোষ্ঠীর সঙ্গে আছেন।
জানা গিয়েছে, বুলধানা আসনে শীঘ্রই পা রাখতে চলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। এদিকে বিজেপির এই পদক্ষেপে হকচকিয়ে গিয়েছে শিন্ডে গোষ্ঠী। তারা উদ্ধব ঠাকরেকে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ২০২৪ সালের তাঁদের আসন ধরে রাখার লক্ষ্যে। এই আবহে শরিকের সঙ্গে আলোচনা না করেই বিজেপির এই একতরফা পদক্ষেপে অস্বস্তিতে পড়েছে শিন্ডে গোষ্ঠী।
এই আবহে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিন্ডে শিবিরের এক মন্ত্রী হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ’১২ সাংসদ এই ভেবেই শিবির বদল করেছেন যে তাঁদের রাজনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে। কিন্তু বিজেপি আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই একতরফা ভাবে ঘোষণা করা শুরু করে দিয়েছে। এতে দুই শরিক দলের সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে।’ এদিকে বিজেপি সভাপতির ফড়ণবীসকে নিয়ে করা মন্তব্যের জেরে শিন্ডের ভবিষ্যতের উপরই প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে। তবে এর আগেই শিন্ডে-ফড়ণবীসের সম্পর্কের পরীক্ষা হবে। আসন্ন বিধান পরিষদের মনোয়ন পর্বে ১২টি আসনের মধ্যে মাত্র ২টি শিন্ডে শিবিরকে ছাড়তে রাজি হচ্ছে বিজেপি। এদিকে আসন্ন পুর নির্বাচনের আসন বণটন নিয়েও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে রেষারেষি দেখা যেতে পারে।
আসন্ন বৃহণ্মুম্বই পুরনিগমের নির্বাচনের জন্য শিন্ডে গোষ্ঠী সমান সমান আসন আশা করছে। তবে বিজেপি আকারে ইঙ্গিতে ইতিমধ্যেই এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তাঁরা সিংহভাগ আসনে প্রার্থী দিতে চলেছে। এই আবহে দুই দলের সংঘাত বাঁধা স্বভাবাবিক। যদিও শিন্ডের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি এই বিষয়ে। এদিকে কল্যাণ-ডোমবিভলিতেও নাকি আসন বণ্টন নিয়ে দুই দলের রেষারেষি শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে বিদ্রোহী বিধায়কদের তরফেও শিন্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সবাই ক্ষমতার কাছাকাছি আসতে চান।