এবার বিএসএফের ক্ষমতা এবং ব্যাপ্তি বাড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। বিএসএফের অফিসারদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে গ্রেফতার, বাজেয়াপ্ত এবং তল্লাশি করার। এগুলি আগেও তাঁরা করতে পারতেন। তবে সেটা ছিল নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে। এবার থেকে ৫০ কিমি ভিতরে ঢুকে তাঁরা এই কাজ করতে পারবেন। তাঁদের অবস্থান থেকে ৫০ কিমি। পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব এবং অসমে এই কাজ তাঁরা করতে পারবেন।
অমিত শাহের মন্ত্রক থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকেই এই সিদ্ধান্তের পিছনে রাজনীতি দেখছেন। সিবিআই–ইডি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যের অভিযোগ রয়েছে। তার উপর বিএসএফ যোগ হওয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে দেশে। কারণ গুজরাতে বিএসএফের ক্ষমতা ছিল ৮০ কিমি পর্যন্ত ভিতরে ঢুকে গ্রেফতার, বাজেয়াপ্ত এবং তল্লাশি করার। সেটা কমিয়ে আনা হয়েছে ৫০ কিমিতে। আর রাজস্থানেও একই গণ্ডি রয়েছে ৫০ কিমি।
তবে মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মণিপুর, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে কোন গণ্ডি নেই। এখানে বিএসএফের অবাধ যাতায়াত। কিন্তু এই নিয়ে এখনও বড় কোনও বিরোধিতা গড়ে ওঠেনি। ১৯৬৮ সালের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স অ্যাক্টের ১৩৯ ধারা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার এই বাহিনীর ক্ষমতা এবং ভূখণ্ড বাড়াতে পারে। আর তাই করা হয়েছে।
সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে এই তিন রাজ্যে ১৫ কিমি পর্যন্ত ভিতরে ঢোকার ক্ষমতা ছিল বিএসএফের। সেখানে তা বাড়িয়ে দেওয়া হল। যা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই বর্ধিত ৩৫ কিমি নিয়েই এখন চর্চা চলছে। বাংলা, পাঞ্জাব এবং অসম—এই তিন রাজ্যের মধ্যে দুটি রাজ্যই অবিজেপি শাসিত রাজ্য। আর অসম বিজেপি শাসিত রাজ্য। তাই এই দুই রাজ্যে ক্ষমতা দেখাতে পারে বিএসএফ বলে মনে করছেন অনেকে।