পরনে সালোয়ার কামিজ। পায়ে একটা হাওয়াই চটি, হাতে লাল রঙের একটা কম্বল। সীমান্তের দিকে ছুটে আসছিল ৩০-৩২ বছর বয়সী এক পাকিস্তানি মহিলা। রাত তখন প্রায় ৮টা বাজে। কাশ্মীরের আরএস পুরা সেক্টরে বিএসএফের নজরে আসে সীমান্তে সন্দেহজনক এই গতিবিধি। বাহিনীর তরফে বার বার সতর্ক করা হয়।আন্তর্জাতিক সীমান্ত এভাবে না পেরনোর জন্য বার বার হুঁশিয়ারি দেয় বিএসএফ। কিন্তু সীমান্তের কাঁটাতারের দিকে আরও যেন ছোটার গতি বাড়িয়ে দেয় মহিলা। এরপর ভারতের সীমারেখার মধ্যে ঢুকে পড়ে ওই মহিলা। এরপর কার্যত বাধ্য হয়েই গুলি চালায় বিএসএফ। সীমান্তে কাঁটাতারের কাছেই লুটিয়ে পড়েছিল শরীরটা।
বিএসএফের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সতর্ক বিএসএফ রবিবার রাতে এক পাকিস্তানি মহিলা অনুপ্রবেশকারীকে রুখে দিয়েছে। বিএসএফ সূত্রে খবর, ওই মহিলার বয়স প্রায় ৩০-৩২ হতে পারে। সেভাবে সন্দেহজনক কিছু তার কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। তবে পাক রেঞ্জারদের গোটা ঘটনা জানানো হয়েছে। এদিকে সূত্রের খবর, ওই মহিলা মানসিকভাবে কোনও সমস্যায় ছিলেন কি না সেটা বোঝা যায়নি। তবে ভারতের এলাকার মধ্যে তিনি ঢুকে পড়েছিলেন। বিএসএফ তাকে বার বার সতর্ক করে। কিন্তু তিনি কোনওভাবেই শুনতে চাননি। তার দেহ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলা সালোয়ার কামিজ পরেছিল। পায়ে হাওয়াই চটি ছিল। সঙ্গে একটা লাল রঙের কম্বল ছিল। খারুলা পোস্টের কাছে এই ঘটনা ঘটে। বিএসএফ গোটা ঘটনা পুলিশকে জানায়। তবে মহিলা মানসিকভাবে ঠিকঠাক ছিলেন কি না সেটা জানা যায়নি।