দীর্ঘদিন ব্যক্তিগত আয়কর মকুবের সর্বোচ্চসীমার কোনও হেরফের হয়নি। ২০২০ সালে পুরনো কর কাঠামো চালু রাখার মধ্যেই একটি নয়া কর কাঠামো চালু করা হয়েছিল। করোনাভাইরাস ধাক্কায় আহত অর্থনীতিতে আমজনতার ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে এবার কর কাঠামো পরিবর্তন করা হতে পারে বলে আশায় বুক বাঁধছে একটি মহল। ওই মহলের আশা, মঙ্গলবারের বাজেটে করদাতাদের কিছুটা স্বস্তি দেওয়া হতে পারে।
ব্যক্তিগত আয়কর মকুবের সর্বোচ্চসীমা ২০১৪ সালে শেষবার পরিবর্তন করা হয়েছিল। প্রথম নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে ব্যক্তিগত আয়কর মকুবের সর্বোচ্চসীমা দু'লাখ টাকা থেকে ২.৫ লাখ টাকা করা হয়। যা প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে করা হয় তিন লাখ। তারপর থেকে একবারও ব্যক্তিগত আয়কর মকুবের সর্বোচ্চসীমা বাড়ানোর পথে হাঁটেনি মোদী সরকার।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের চতুর্থ বাজেটের আগে একটি মহলের আশা, ব্যক্তিগত আয়করের ক্ষেত্রে বড় ছাড় দেওয়া হতে পারে। ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে ব্যক্তিগত করবিহীন আয়ের সর্বোচ্চসীমা ২.৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হতে পারে। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে সেই সীমা বেড়ে হতে পারে ৩.৫ লাখ টাকা। বার্ষিক আয়ের সর্বোচ্চসীমাও (১৫ লাখ টাকা) কিছুটা বাড়ানো হতে পারে।
দীর্ঘদিন ব্যক্তিগত আয়কর মকুবের সর্বোচ্চসীমার কোনও হেরফের হয়নি। ২০২০ সালে পুরনো কর কাঠামো চালু রাখার মধ্যেই একটি নয়া কর কাঠামো চালু করা হয়েছিল। করোনাভাইরাস ধাক্কায় আহত অর্থনীতিতে আমজনতার ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে এবার কর কাঠামো পরিবর্তন করা হতে পারে বলে আশায় বুক বাঁধছে একটি মহল। ওই মহলের আশা, মঙ্গলবারের বাজেটে করদাতাদের কিছুটা স্বস্তি দেওয়া হতে পারে।
ব্যক্তিগত আয়কর মকুবের সর্বোচ্চসীমা ২০১৪ সালে শেষবার পরিবর্তন করা হয়েছিল। প্রথম নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে ব্যক্তিগত আয়কর মকুবের সর্বোচ্চসীমা দু'লাখ টাকা থেকে ২.৫ লাখ টাকা করা হয়। যা প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে করা হয় তিন লাখ। তারপর থেকে একবারও ব্যক্তিগত আয়কর মকুবের সর্বোচ্চসীমা বাড়ানোর পথে হাঁটেনি মোদী সরকার।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের চতুর্থ বাজেটের আগে একটি মহলের আশা, ব্যক্তিগত আয়করের ক্ষেত্রে বড় ছাড় দেওয়া হতে পারে। ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে ব্যক্তিগত করবিহীন আয়ের সর্বোচ্চসীমা ২.৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হতে পারে। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে সেই সীমা বেড়ে হতে পারে ৩.৫ লাখ টাকা। বার্ষিক আয়ের সর্বোচ্চসীমাও (১৫ লাখ টাকা) কিছুটা বাড়ানো হতে পারে।|#+|
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সম্প্রতি কেপিএমজির তরফে যে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, তাতে অধিকাংশ উত্তরদাতা (৬৪ শতাংশ) আশাপ্রকাশ করেছেন যে এবারের বাজেটে ব্যক্তিগত আয়কর মকুবের সর্বোচ্চসীমা ২.৫ লাখ টাকা থেকে বাড়াবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কেপিএমজি ইন্ডিয়ার কর বিষয়ত সহযোগী এবং জাতীয় প্রধান রাজীব ডিমরি বলেছেন, 'আমাদের প্রাক-বাজেট সমীক্ষা অনুযায়ী, ব্যক্তিগত আয়কর মকুবের সর্বোচ্চসীমা ২.৫ লাখ টাকা থেকে বাড়ানোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন মানুষ। ১০ লাখে আয়ের ক্ষেত্রেও করের হার সংশোধনের পক্ষ মত দিয়েছেন উত্তরদাতারা।'
নয়া কর কাঠামোর আওতায় আনতে দেওয়া হতে পারে বাড়তি সুযোগ
পুরনো কর কাঠামো চালু করার পাশাপাশি ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে নয়া কর কাঠামো কার্যকর হয়েছে। সেই নয়া কর কাঠামোয় ২.৫ লাখ টাকার নীচে বার্ষিক আয় হলে কর দিতে হয় না। ২.৫ লাখ টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকার কম পর্যন্ত দিতে হয় পাঁচ শতাংশ কর। তবে আয়কর রিটার্ন ফাইল করলে সেই করের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা থেকে ৭.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ, ৭.৫ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, ১০ লাখ টাকা থেকে ১২.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০ শতাংশ, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ২৫ শতাংশ এবং ১৫ লাখের বেশি হলে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। নয়া কর কাঠামোয় কার্যত কোনও করছাড় (প্রভিডেন্ট ফান্ড, গৃহঋণ, জীবনবিমা, স্বাস্থ্যবিমার মতো বিষয়) পাওয়া যায় না। মেলে না হাউজ রেন্ট অ্যালোয়েন্স বাবদ ছাড়ও। যা পুরনো কর কাঠামোয় পাওয়া যায়। তার ফলে যে টাকার কর দিতে হয়, সেটা অনেকটাই কমে যায়। সেই পরিস্থিতিতে নয়া কাঠামোয় করের হার কমানো হলেও (ক্ষেত্রবিশেষে কমেছে) করদাতারা পুরনো কর কাঠামোর আওতায় থাকতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সূত্রের খবর, সেই পরিস্থিতিতে আরও বেশি করদাতাকে নয়া কর কাঠামোয় আনতে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্র। নাম গোপন রাখার শর্তে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ গ্রুপের ‘লাইভ মিন্ট’-এ বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্কিত ওই দুই আধিকারিক জানিয়েছেন, পুরনো কাঠামোর আওতায় থাকতে চাইছেন অধিকাংশ করদাতা। সেই পরিস্থিতিতে পুরনো কর কাঠামোর পরিবর্তে নয়া কর কাঠামোর আওতায় আসার জন্য করদাতাদের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দিতে পারে কেন্দ্র। আপাতত বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। পুরনো এবং কঠিন কর কাঠামোর পরিবর্তে মানুষ যাতে নয়া কাঠামোর মাধ্যমে আয়কর দেন, সেজন্য বাড়তি সুযোগ-সুবিধা বা ‘ইনসেনটিভ’ দেওয়া হতে পারে।
আয়কর কাঠামোর আরও সরলীকরণ হতে পারে
এবারের বাজেটে আয়কর কাঠামোআরও সরলীকরণের জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হতে হবে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের বাজেটে বিভিন্ন ধরনের ৭০ টি ছাড় (ডিডাকশন এবং এক্সজেমশন) বাতিল করা হয়েছিল। সীতারামন জানিয়েছিলেন, বাকি যে ছাড়গুলি আছে, সেগুলি পর্যালোচনা করে দেখা হবে। আয়কর কাঠামোকে সরল এবং করের হার কম করতে আগামী বছরগুলিতে সেই ছাড়গুলিকে যুক্তিযুক্ত করে তোলা হবে বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।