মধ্যবিত্তদের জন্য স্বস্তির বাজেট হলেও ফাঁকতালে যেন বঞ্চিত হল দেশের ‘দিন আনি দিন খাই’ শ্রেণি। তাদের জন্য এবারের বাজেট সত্যিই কী কিছু এনে দিতে পেরেছে? প্রশ্ন তুলেছে অধিকাংশ বিরোধী। মধ্যবিত্তদের জন্য করছাড়ে একাধিক সুবিধা ছিল ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেটে। কিন্তু গ্ৰামীণ প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণেও এবার ছাঁটাই হল বেবাক।
অধিকাংশ গ্ৰামীণ প্রকল্পেই এবার কমল বরাদ্দ। তাহলে কী ২০২৪এর লোকসভা ভোটের আগে মোদী সরকারের সম্পূর্ণ নজর ঘুরে গেল উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের দিকেই।
মনরেগা প্রকল্প প্রতি বছর গ্ৰামীণ পরিবারে ১০০ দিনের কাজ নিশ্চিত করে। ২০২২-২৩ এর বাজেট প্রস্তাবিত ব্যয়ে এই প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থ ছিল ৭৩,০০০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪এর ‘স্বস্তি’-এর বাজেটে তা কমে দাঁড়াল ৬০,০০০ কোটি। প্রায় ১৮ শতাংশ কমেছে বরাদ্দের পরিমাণ।
এছাড়াও, যদি সংশোধিত ব্যয়ের হিসাব দেখা হয়, তবে আরও বাড়বে এই শতাংশ। ৮৯,৪০০ কোটির সংশোধিত ব্যয় মাফিক ৩৩ শতাংশ কমেছে আগামী অর্থবছরের বরাদ্দ।
হিসেবটা আরও তলিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, নতুন কাজের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ আরও কম। পিপলস্ অ্যাকশন ফর এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি গ্ৰুপ সম্প্রতি হিসাব প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবছর ২০২২-২৩এ এখনও ১৬,০০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। অর্থাৎ শ্রমিকরা এখনও সেই টাকা হাতে পাননি। প্রস্তাবিত ব্যয় ৬০ হাজার কোটি থেকে তা বাদ গেলে নতুন করে কাজের জন্য বরাদ্দ থাকছে ৫০ হাজার কোটিরও কম অর্থ।
মজদুর কিষাণ শক্তি সংস্থানের প্রতিষ্ঠাতা নিখিল দে এদিনের বাজেট শুনে বললেন, মনরেগা আর খাদ্যশস্যের বরাদ্দ কোভিড চলাকালীন গ্ৰামের মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। সেই বরাদ্দই এবার কমে গেল! প্রতিটি পরিবারকে ঠিকমতো ১০০ দিনের কাজ দিতে হলে অন্তত ২.৭ লাখ কোটি বরাদ্দ দরকার।
প্রসঙ্গত, শুধুই মনরেগা নয়। বরাদ্দ কমেছে খাদ্যশস্য ও সারের দামেও। সব মিলিয়ে গ্ৰামোন্নয়ন বিভাগে বরাদ্দ ১.৮১ লাখ কোটি থেকে কমে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১.৫৭ লাখ কোটি হল। যার মূল কারণ মনরেগার বরাদ্দ কমানো।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup