চিন, পাকিস্তান ইস্যুতে সংসদে গতকাল মোদী সরকারকে তুলোধোনা করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সরকারের বিদেশ নীতির বিরোধিতা করে রাহুলের মন্তব্যের পাল্টা তোপ দাগেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তবে রাহুলের ‘সতর্কবাণী’র গুরুত্ব বোঝালেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর।
রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শশী থারুর প্রশ্ন করা হলে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘এটা একটা নতুন পরিস্থিতি। আমার মনে হয় তাঁর (রাহুল গান্ধী) এই বার্তাগুলি শোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ আমরা এটা বলতে চাই না যে দেশ আগামীকালই যুদ্ধের মুখোমুখি হবে। আমরা বলছি যে ভারত অভ্যন্তরীণ ভাবে দুর্বল হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় সুরক্ষা ও বিদেশ নীতির দিক দিয়েও দেশ দুর্বল।’ শশী থারুর আরও বলেন, ‘এর আগে ইন্দিরা গান্ধী মস্কোর আউটরিচের মাধ্যমে চিনের ঝুঁকি কমিয়েছিলেন। পাকিস্তান যখন যুদ্ধরত ছিল, তখন যাতে চিন এর সুবিধা না নেয় এবং যখন চিন আমাদের আক্রমণ করেছিল, পাকিস্তান যাতে আমাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য বিদেশ নীতি তৈরি করেছিলাম আমরা।’
এর আগে সংসদে রাহুল গান্ধী সংসদে বলেছিলেন, ‘মৌলিকভাবে ভারতের বৈদেশিক নীতির অন্যতম কৌশলগত নীতি ছিল যে চিন এবং পাকিস্তানকে আলাদা রাখতে হবে। কিন্তু এই নরেন্দ্র মোদী সরকারই চিন এবং পাকিস্তানকে একসঙ্গে নিয়ে এসেছে। দেশের মানুষের প্রতি এটা মোদী সরকারের সবথেকে বড় অপরাধ। চিনের যে পরিকল্পনা আছে, তার ভিত্তি তৈরি হয়েছে ডোকলাম এবং লাদাখে। যা দেশ হিসেবে ভারতের সামনে বড়সড় ঝুঁকি তৈরি করেছে। কৌশলগত দিক থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে বড়সড় ভুল করেছে মোদী সরকার। বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে বড়সড় ভুল করেছে। এই ভুল শোধরাতে হবে। আমাদের চিনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে আমার প্রিয় দেশ বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে আছে।’