চারধামগামী রাস্তা আরও চওড়া করা সংক্রান্ত মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় পর্যবেক্ষণ দেন, 'আমরা এমন একটি বিষয় নিয়ে কাজ করছি যেখানে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। আমরা কি বলতে পারি, সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত হওয়ার দরুন এবং অতীতে যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা জাতির নিরাপত্তাকে অগ্রাহ্য করব?'
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বলে যে ভারত-চিন সীমান্তের দিকে চর ধাম প্রকল্পের রাস্তাগুলি প্রসারিত করার জন্য সেনাবাহিনীর অনুরোধ জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষইতে। তাই তা উপেক্ষা করা যায় না। বিশেষ করে সীমান্তের ওপারে চিন যখন ভারী নির্মাণ কাজ জারি রেখেছে, তখন সীমান্তের এপারে সেনার আবেদন অগ্রাহ্য করা যায় না।
উল্লেখ্য, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রিনাথ যুক্ত করা ৮৯৯ কিলোমিটারের চারধাম হাইওয়েকে চওড়া করতে চায় কেন্দ্র ও সেনা। তবে নিয়মমত এই রাস্তা ৫ মিটারের বেশি চওড়া করা যাবে না। তবে কেন্দ্র চাইছে সেনার সুবিধার্থে এই রাস্তা ১০ মিটার চওড়া করা হোক। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে ভেনুগোপাল জানান, চিন সীমান্তের ওপারে হেলিপ্যাড তৈরি করছে। সুতরাং এই রাস্তা দিয়ে রকেট লঞ্চার, ট্যাঙ্ক নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তাঁর কথায়, 'আমরা চাই না ১৯৬২ সালের পরিস্থিতিতে পড়তে হোক সেনাকে।' এদিকে রাস্তা চওড়া করতে না দেওয়ার পক্ষে মামলাকারীদের যুক্তি, উত্তরাখণ্ডে যে হারে ভূমিধসের ঘটনা বাড়ছে, তাতে রাস্তা চওড়া করতে গিয়ে আরও গাছ কাটলে পরিবেশের উপর তার খারাপ প্রভাব পড়বে।