দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একই ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা, একই ধরনের সিলেবাস গোটা দেশ জুড়ে যাতে থাকে তার জন্য আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তবে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE) এনিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। বোর্ডের তরফ থেকে আদালতে জানানো হয়েছে, শিক্ষা হল সংবিধানের যৌথ তালিকাভুক্ত। আর বেশিরভাগ স্কুলই রাজ্য সরকারের অধীন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত এলাকার সরকারি স্কুলের সিলেবাস সহ অন্যান্য সূচি ঠিক করে।
অন্যদিকে শিক্ষার সমস্ত স্তরে মাতৃভাষার প্রচলন নিয়ে নানা কথা উঠছে। কিন্তু বোর্ডের দেখছে গোটা দেশজুড়ে ইউনিফর্ম বোর্ড বা সিলেবাস হলে তারা স্থানীয় সংস্কৃতি বা ভাষার উপর পুরোপুরি জোর দেবে এমনটা হবে না। সিবিএসইর বক্তব্য়, একজন পড়ুয়ার সিলেবাসে যদি তার চারপাশের কথা বেশি করে থাকে তবে সে সেটার সঙ্গে মেলাতে পারে।
এদিকে আদালতের কাছে জমা দেওয়া পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছিল, সমস্ত প্রবেশিকা পরীক্ষার সিলেবাস ও কারিকুলাম সবই একই ধরনের। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সিবিএসই, ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন ও রাজ্য বোর্ডের সিলেবাসের মধ্য়ে অনেক ফারাক থেকে যাচ্ছে। সেকারণে কোনও পড়ুয়া ১৪-১৬ নম্বর ধারা অনুসারে সমান সুযোগ পাচ্ছে না।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে অশ্বিনী কুমার উপাধ্য়ায় নামে ওই আবেদনকারী জানিয়েছেন, সিবিএসই, আইসিএসই ও রাজ্য বোর্ডের সিলেবাস পুরো আলাদা। সেকারণে সমস্ত পড়ুয়া সমান সুযোগ পাচ্ছে না। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, এই যে ফারাক এটা পুরোপুরি দূর করা যাবে না। সিলেবাসের সমতা রক্ষার অর্থ হল সমস্ত ছাত্রছাত্রীরাই যাতে সমান সুযোগ পান।
আবেদনকারী জানিয়েছেন, শিক্ষার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। এটা একই স্তরের হওয়া দরকার। এটা সম মানের হওয়া দরকার। এটা কোনও শিশুর আর্থ সামাজিক অবস্থার উপর হওয়ার কোনও যুক্তি নেই। প্রতিটি শিশুর বিনামূল্যে বাধ্যতামূলকভাবে সাধারণ শিক্ষার অধিকার রয়েছে। কোনও ক্ষেত্রে আর্থিক বৈষম্য বা সংস্কৃতিগত বৈষম্যের জন্য় তিনি শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন এমনটা নয়।