খ্রীষ্টান দেশ ব্রিটেনেই এখন সংখ্যালঘু খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীরা। এমনটাই উঠে এসেছে সর্বশেষ সেনসাসে। রীতিমত চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে সেখানে যা বলছে এখন ৫০ শতাংশের কম মানুষ ব্রিটেনে খ্রীষ্টান ধর্ম পালন করেন। অন্যদিকে দ্রুত বাড়ছে মুসলমানদের জনসংখ্যা। কার্যত একই রয়েছে হিন্দুদের জনসংখ্যা শতাংশের বিচারে।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলস মিলিয়ে মাত্র ৪৬.২ শতাংশ মানুষ বলেছেন তাঁরা খ্রীষ্টান ধর্মালন্বী। উল্লেখ্য এক দশক আগে সেই সংখ্যাটি ছিল ৫৯.৩ শতাংশ। ইসলাম ধর্মালম্বীদের সংখ্যা শতাংশের বিচারে ৪.৯ থেকে ৬.৫ হয়ে গিয়েছে। হিন্দুরা দশ বছরে ১.৫ শতাংশ থেকে মোট জনসংখ্যার ১.৭ শতাংশ হয়েছে। প্রায় ৩৭ শতাংশ মানুষ বলেছেন যে তারা কোনও ধর্ম পালন করেন না বা মানেন না। এক দশক আগে এটি ২৫ শতাংশ ছিল।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের বিভিন্ন অঙ্গের সঙ্গে একেবারে নিবিড় ভাবে যুক্ত আছে খ্রীষ্ট ধর্ম। সে বিভিন্ন চার্চ চালিত স্কুলের জন্য সরকারি সাহায্যই হোক বা উচ্চকক্ষে বিশপদের উপস্থিতি হোক না কেন। সেখানে এত বড় সংখ্যক মানুষ ধর্ম কার্যত মানেননা সেটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। চার্চ অফ ইংল্যান্ডের এক বরিষ্ঠ পাদ্রী ইয়র্কের আর্চবিশপ স্টিফেন কট্রেল জানিয়েছেন যে এই তথ্য নতুন নয়। তবে এর থেকেই সাফ যে নিজেদের ধর্মকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্ আরো কাজ করতে হবে তাদের। সেই আগের দিন আর নেই যখন আপনাআপনি লোকেরা নিজেদের খ্রীষ্টান বলে অভিহিত করত বলে তাঁর সাফ কথা। তবে এখনও অনেক মানুষই আধ্যাত্মিকতার আশ্রয়ে এসে জীবনে দিক নির্ধারণের দিশা খোঁজেন বলেই আর্চবিশপ জানিয়েছেন। তাদের কাছে পৌঁছে যেতে হবে বলেই তিনি মনে করেন।
শুধু ধর্মাচরণে যে ব্রিটেন বদলাচ্ছে তা নয়, জাতিগত ভাবেও বদলে যাচ্ছে সেই দেশের জনসংখ্যা। দশ বছরের মধ্যে শ্বেতাঙ্গদের শতাংশ ৮৬ থেকে ৮২ হয়ে গিয়েছে। ৯ শতাংশ জানিয়েছেন তারা এশিয়ান, ৪ শতাংশ জানিয়েছেন তাঁরা কৃষ্ণাঙ্গ ও মিশ্র জাতির মানুষ প্রায় তিন শতাংশ। সব মিলিয়ে সারা বিশ্বে একদা রাজ করা ব্রিটেনে আজ মহামানবের মিলনক্ষেত্র।