কেন্দ্রীয় এজেন্সি মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের হয়ে কাজ করছে। বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। একটি ভিডিও রেকর্ডিংকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। শরদ পাওয়ারের অভিযোগ, ‘এটা বোঝা যাচ্ছে যে ফড়নবিশ ও তাঁর সহযোগীরা এক অ্য়াডভোকেটের অফিসে গিয়ে ১২৫ ঘণ্টার ভিডিও রেকর্ডিং করেছেন। ভাবুন তো ১২৫ ঘণ্টার রেকর্ডিং করতে কতদিন সময় লেগেছে! আর এটা যদি সত্য়ি হয় তবে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে এই কাজের পেছনে শক্তিশালী এজেন্সির হাত রয়েছে। আর সেই এজেন্সি হল একমাত্র কেন্দ্রীয় এজেন্সি।’ এভাবেই শরদ পাওয়ার বিজেপি ও দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করার অভিযোগে কাঠগড়ায় তুলেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এটা বুঝতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের কতটা ক্ষমতা আর সেই সব এজেন্সি দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে রয়েছে । তবে রাজ্য প্রমাণ করবে ওই ভিডিও রেকর্ডিং কতটা সত্যি।’ শরদ পাওয়ার বলেন, ‘কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল অনিল দেশমুখের ঘটনা। যত দূর জানি কেন্দ্রীয় এজেন্সি অন্তত ৯৫জনের বাড়িতে হানা দিয়েছিল।ইডি ৫০টি রেইড করেছিল। সিবিআই হানা দিয়েছিল ২০টি ক্ষেত্রে। আইটি হানা হয়েছিল প্রায় ২০টি ক্ষেত্রে। কিন্তু এরকম কোনওদিন শুনিনি যে একজন ব্যক্তির জন্য বিভিন্ন এজেন্সি মিলিয়ে ৯০টি অভিযান হয়েছে। এটা থেকেই পরিষ্কার বোঝা যায় কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকার এজেন্সিগুলোকে ব্যবহার করছে।’