ভারতে সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো আজ এই মামলার শুনানি হয়। সেখানেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সমলিঙ্গে বিবাহের দাবিতে দায়ের করা এই আবেদন খারিজ করার দাবি জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়ে সরকারের তরফে দায়ের করা হলফনামায় বলা হয়েছে, 'সমলিঙ্গের সম্পর্ককে ভারতীয় পারিবারিক সম্পর্কের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। ভারতীয় পরিবারের ধারণা হল স্বামী, স্ত্রী এবং তাদের সন্তান।' কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়, সমলিঙ্গের সম্পর্ককে আইনি বৈধতা দেওয়ার মানে এই নয় যে সমলিঙ্গের বৈবাহিক সম্পর্ককে বৈধতা দিতে হবে। 'সামাজিক কারণে' সমলিঙ্গে বিবাহের বিরোধিতা করে কেন্দ্র। (আরও পড়ুন: রাজভবনে বৈঠক ডিএ আন্দোলনকারীদের, কী বললেন রাজ্যপাল? চাপে সরকার!)
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এই ঐতিহাসিক রায়দানের মাধ্যমে সমকামী সম্পর্ককে অপরাধমুক্ত বলে ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ব্রিটিশ জমানার বহু পুরোনো আইনকে প্রত্যাহার করে পাঁচ সদস্যের বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছিল, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার আওতায় দু'জনের পূর্ণ সম্মতিতে সমকাম সম্পর্ক অপরাধ নয়। সেই পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ছিলেন দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। তবে সমকামী সম্পর্ক বৈধ হলেও সমকামী বিয়ে এখনও আইনি বৈধতা পায়নি ভারতে।
এই আবহে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ নির্দেশনা জারি করে যাতে বিভিন্ন হাই কোর্টে থাকা সমকামী বিবাহ সংক্রান্ত যাবতীয় পিটিশন মুলতুবি করা হয়। এই বিষয়ে জড়িত সকল মামলাকে সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তর করতে বলা হয়। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। উল্লেখ্য, বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে সমকামী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে একাধিক পিটিশন দাখিল হয়েছে দিল্লি, গুজরাট এবং কেরলের উচ্চ আদালতে। সেই সমস্ত আবেদনই সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তর করা হযতে চলেছে এবার। এই আবহে হাই কোর্টে আবেদন জানানো ব্যক্তিদের অনলাইনে সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে হাজির থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে কেন্দ্রের মনোভাবও জানতে চেয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত।