অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুর বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে দিল অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার এসিবি কোর্ট। কোর্ট এদি চন্দ্রবাবু নাইডুর রিমান্ড ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। ৩৭১ কোটি টাকার স্কিল ডেভেলপমেন্ট দুর্নীতি মামলায় চন্দ্রবাবু নাইডুর বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। সেই অভিযোগেই তাঁকে আগেই সিআইডি গ্রেফতার করেছিল। এরপর তদন্তের স্বার্থে চন্দ্রবাবু নাইডুর হেফাজত ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জন্য ঘোষণা করেছিল কোর্ট। সেই হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল।
সদ্য অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর বাতিল করার আর্জি নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই আর্জি খারিজ হয়। এরপর বিজয়ওয়াড়া কোর্টে সিআইডির তরফে আইনজীবী হরিশ সালভে, সিদ্ধার্থ লুথরারা সওয়াল জবাব করেন। এরপর সিআইডি তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখে। এদিকে, এসিবি কোর্ট , নাইডুর পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন অবস্থায় তদন্তের সময়ের কোনও ভিডিয়ো বা ছবি বাইরে প্রকাশ করা থেকে সিআইডিকে বিরত থাকতে বলে। উল্লেখ্য, সেই হেফাজতের মেয়াদ রবিবারই শেষ হয়। কোর্ট জানায়, মামলার শুনানি ভিডিয়ো কল-এ হবে। এরপর রবিবার কোর্ট হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়।
এদিকে, ভিডিয়ো কলে এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি চন্দ্রবাবু নাইডুকে জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি রিমান্ডে থাকাকালীন কোনও সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন কি না। জবাবে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁকে মানসিকভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান, যাতে তাঁর অধিকার রক্ষা করা হয় ও তাঁকে ন্যায় বিচার দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর চন্দ্রবাবু নাইডুকে গ্রেফতার করা হয়েছে স্কিল ডেভেলপমেন্ট দুর্নীতি ঘিরে। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৫ সাল অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি স্কিল ডেভেলপমেন্ট খাতে রাখা টাকা তছরুপ করেছেন বলে অভিযোগ। যার জেরে রাজ্যের ৩০০ কোটির লোকসান হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সরকারে এসে চন্দ্রবাবু একটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন স্থাপন করেন। রাজ্যের যুবকদের প্রশিক্ষণ ও কারিগরি শিক্ষা দেয় এই কর্পোরেশন। ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে এই ক্রমকাণ্ড চলেছে। সেই মামলাতেই চন্দ্রবাবু আর্থিত তছরুপের দায়ে অভিযুক্ত হন।