সংগঠনের খোলনলচে বদলে ফেলা হোক। একইসঙ্গে নেতৃত্ব স্তরে পরিবর্তন আনা হোক। এমনই দাবি জানিয়ে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখলেন কমপক্ষে ২৩ জন বর্ষীয়ান নেতা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে একথা জানানো হয়েছে।
সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিঠি প্রেরকদের তালিকায় আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দর সিং হুডা, পৃথ্বীরাজ চৌহান থেকে শুরু করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিব্বল, শশী থারুর। চিঠিতে 'পূর্ণ সময়ের এবং কার্যকর নেতৃত্ব'-এর দাবি জানানো হয়েছে। যা একইসঙ্গে 'দৃশ্যমান' এবং 'সক্রিয়' হবে। পাশাপাশি 'জরুরি ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্ব কাঠামোর গঠন' এবং 'মিলিতভাবে দলের ঘুরে দাঁড়ানোর' বিষয়েও জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নাম না থাকলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে, নেতৃত্ব নিয়ে দোলাচলের জেরে দলের কর্মীদের মনোবল ধাক্কা খেয়েছে এবং দলের ভিত দুর্বল হয়েছে। একটি টুইটবার্তায় প্রাক্তন মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা দাবি করেছেন, ‘দলের মধ্যে কাজকর্ম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে প্রায় ১০০ জন কংগ্রেস নেতা (সাংসদ-সহ) চিঠি লিখেছেন বলে অনুমান। রাজনৈতিক নেতৃত্বে পরিবর্তন এবং কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।’
যদিও কংগ্রেসের বর্তমান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার দাবি, ফেসবুকের সঙ্গে নিজেদের 'যোগসাজশ'-এর দিক থেকে নজর ঘোরাতেই চিঠি বিতর্ক শুরু করেছে বিজেপি। ফলে সেই চিঠি সংক্রান্ত বিষয় ঘিরে আগামিকাল (সোমবার) উত্তাল হতে পারে কংগ্রেসে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক।
সেই টানাপোড়েনের মধ্যেই সেই চিঠির সত্যতা স্বীকার করেছেন পি জে কুরিয়ান। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে তিনি বলেছেন, ‘আমি চিঠির বিষয়ে বিস্তারিত বলব না। তবে আমি বলতে পারি যে তাতে সই করেছিল। আগামিকাল (সোমবার) কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর চিঠিটা সামনে আনা হবে।’