আন্তর্জাতিক চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত নরম হল চিন। করোনাভাইরাসের উৎস খুঁজতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে চিনে তদন্ত করার জন্য ১২০টির বেশি দেশের আর্জিকে স্বাগত জানাল বেজিং।
সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনস্থ ওয়ার্ল্ড হেল্থ অ্যাসেম্বলি-কে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানান, অতিমারি শুরু হওয়ার সময় থেকেই বিষয়টি নিয়ে উদার, স্বচ্ছ ও দায়িত্বপূর্ণ অবস্থান বজায় রেখেছে চিন।
এ দিন আন্তর্জাতিক স্তরের এই আলোচনাসভার উদ্বোধনে বক্তব্য রাখার জন্য চিনের প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তার আগে করোনা সংক্রমণের শিকড় খুঁজতে চিনে তদন্ত উদ্দেশে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের তৈরি খসড়া দাবিকে সমর্থন জানায় ভারত-সহ ১২০টি দেশ।
ভাষণে জিনপিং বলেন, করোনার উৎস সন্ধানে তদন্তের দাবিতে আন্তর্জাতিক আবেদনের সামগ্রিক পর্যালোচনাকে সমর্থন জানাচ্ছে বেজিং। তবে বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পরেই এই উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে তিনি জানিয়েছেন। তাঁর মতে, এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি মানুষের প্রাণ বাঁচানো।
এর আগে অবশ্য অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা এই ধরনের অনুসন্ধানের দাবি জানালে তী ব্রপ্রতিবাদ জানিয়েছিল চিন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনা সংক্রমণের জন্য সরাসরি চিনকে দায়ী করেন। তবে এই ব্যাপারে সর্বাগ্রে অভিযোগ এনেছিল অস্ট্রেলিয়া। তার জেরে সে দেশ থেকে আমদানি করা বার্লির উপরে শুল্কের হার বাড়িয়ে দেয় বেজিং। বন্ধ করা হয় অস্ট্রেলিয়া থেকে বিফ আমদানিও।
মজার কথা, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভাষণের আগে করোনার উৎস খুঁজতে তদন্তের আবেদনে সম্মতি দিয়েছিল WHO প্রধান তেদ্রোস আধানোম ঘেব্রেইয়েসাসও।