নীরজ চৌহান
সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের সমালোচনা করা চলবে না। তাহলে আইনানুগ শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন ভাবেই জওয়ানদের সতর্ক করল Central Industrial Security Force (CISF)। শুক্রবার প্রকাশ করা সোশ্যাল মিডিয়া গাইডলাইনস নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এই নয়া নিয়মাবলী বলছে যে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ডিটেইলস শেয়ার করতে হবে অফিসের সঙ্গে। কোনও বেনামে অ্যাকাউন্ট চালানো যাবে না। কোনও অবস্থাতেই সরকারের নীতির সমালোচনা করা চলবে না। তাহলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১.৪ লক্ষ জওয়ান কাজ করেন এই আধাসেনা বাহিনী। এই সিদ্ধান্তে মারাত্মক ক্ষিপ্ত তাঁরা। অনেকেই মনে করছেন এটা অন্যায়। এই নীতি নিয়ে সিআইএসএফ প্রধান বা পিআরও কিছু বলেন নি। কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কম্যান্ডার হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও হঠকারী। তাহলে টুজি কানেকশন ও বেসিক ফোন ব্যবহার করলেই হল, স্মার্টফোন দিয়ে কী করব, বলেন ক্ষুব্ধ অফিসার।
আরেক কম্যান্ড্যান্ট পদমর্যাদার অফিসার বলেন যে সবাই পরিবারের থেকে কতমাস দূরে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়াতেই একটু বিনোদন বা নিজের মত প্রকাশ করা যেত। সেটাও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
তবে এই নীতির স্বপক্ষে থাকা এক অফিসার বলেন যে কাউকে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টা ব্যবহার করা থেকে আটকানো হচ্ছে না। শুধু নিরাপত্তার স্বার্থে আইডি নেওয়া হচ্ছে কারণ অনেক সময় শত্রু দেশ জওয়ানদের ঠকিয়ে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করে।
সিআইএসএফ তাদের নয়া সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতেও সেই একই কথা বলেছে। বারবার বলা সত্ত্বেও বাহিনীর লোকেরা সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করছেন ও সরকারের নীতির বিরোধিতা করছেন, বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দেশের নিরাপত্তার ঝুঁকি আছে, এই কথা বলে সিআইএসএফ অ্যাকাউন্ট আইডি সবাইকে শেয়ার করতে বলেছে । এমনকী আইডি বদল করলে বা নতুন করে বানালেও সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানাতে হবে। বেনামে আইডি করা যাবে না। সরকারকে কোনও বিষয়ে সমালোচনা করতেও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা যাবে না বলে গাইডলাইনসে দেওয়া আছে।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলেও সেটা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। কোনও ভাবেই চেইন অফ কম্যান্ড ভাঙা যাবে না বলে নির্দেশাবলীতে লেখা হয়েছে।