বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Civil Aviation Ministry official on Flight Ban: চিনের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ করবে ভারত? কী বলছে বিমান পরিবহণ মন্ত্রক

Civil Aviation Ministry official on Flight Ban: চিনের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ করবে ভারত? কী বলছে বিমান পরিবহণ মন্ত্রক

(ছবিটি প্রতীকী : রয়টার্স) (REUTERS)

সাম্প্রতিককালে চিনের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। করোনা মোকাবিলা নিয়ে ভারতেও সরকারি স্তরে ভাবনাচিন্তা চলছে। এই পরিস্থিতিতে ভিড়ের জায়গায় মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।

চিনে ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, করোনার জেরে চিনে আগামী কয়েক মাসে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এই আবহে চিনের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ করার দাবি উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের এক কর্তা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, চিনের সঙ্গে সরাসরি কোনও বিমান পরিষেবা নেই ভারতেরর। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে চিন হয়ে ভারতে বিমান আসে। এখনই সেসব বিমান নিষিদ্ধ করছে না ভারত। তাছাড়া নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক সেই কর্তা জানান, চাইলেও অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক বিমান চলাচল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার কেবল মাত্র কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আছে।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে চিনের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। করোনা মোকাবিলা নিয়ে ভারতেও সরকারি স্তরে ভাবনাচিন্তা চলছে। এই পরিস্থিতিতে ভিড়ের জায়গায় মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। বিশেষত প্রবীণ ও কো-মর্বিডিটি থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম কঠোরভাবে পালনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, আপাতত ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কোনও ঝুঁকি নেওয়ার পক্ষপাতী নয় কেন্দ্র। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিমান যাত্রীদের মধ্যে থেকে ২ শতাংশ যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা চালু হয়েছে আজ থেকে।

বুধবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন করোনা-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সম্প্রতি চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা, জাপানের মতো দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি দিয়ে করোনা আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, যতটা সম্ভব, ততটা দৈনিক ভিত্তিতে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা করতে হবে।

বন্ধ করুন