মধুচন্দ্রিমায় ইতালি ভ্রমণে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে আগ্রায় বাপের বাড়ি পৌঁছলেন গুগলকর্মীর স্ত্রী। জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে বহু কষ্টে তাঁকে সপরিবারে ফের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
বিয়ের পরে স্বামীর সঙ্গে ইতালি, গ্রিস ও ফ্রান্সে বেড়াতে গিয়েছিলেন আগ্রার বাসিন্দা বছর পঁচিশের যুবতী। ভারতে ফেরার কিছু দিন পরে দম্পতির দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেয়। তাঁদের বেঙ্গালুরু শহরের এক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়।
গত ৮ মা্র্চ সেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে বিমানে নয়াদিল্লি পৌঁছন ওই বধূ। তারপর ট্রেনে তিনি আগ্রায় বাপের বাড়ি যান। খোঁজ পেয়ে তাঁর বাড়িতে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা পৌঁছলে পরিবারের সদস্যদের থেকে প্রবল বাধা পান। শেষে জেলাশাসকরে হস্তক্ষেপে পুলিশের সাহায্যে যুবতী ও তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যদের সবাইকে এস এন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মহিলাকে এরপর আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় বিয়ের পরে স্বামীর সঙ্গে ইতালি বেড়াতে যান ওই যুবতী। এরপর গ্রিস ও ফ্রান্সেও তাঁরা ভ্রমণ সফরে গিয়েছিলেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই দম্পতি মুম্বই বিমানবন্দরে এসে নামার পরে অন্য বিমানে বেঙ্গালুরু ফেরেন।
এরপর ৭ মার্চ গুগলকর্মী যুবক Covid-19 জনিত পরীক্ষায় পজিটিভ প্রমাণিত হলে দম্পতিকে বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় রাখা হয়। সেখান থেকে পালিয়ে ৮ মার্চ আগ্রায় বাপেরবাড়ি পৌঁছন নববিবাহিতা যুবতী।
এ দিকে, আলিগড় মেডিক্যাল কলেজ এবং লখনউয়ের কেজিএমইউ হাসপাতাল থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যুবতীর পালানোর বিষয়ে সতর্কবার্তা পাওয়ার পরে নড়চড়ে বসেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা।
চিকিত্সকদের আশঙ্কা, বিমান ও ট্রেনে তাঁর সহযাত্রীদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। খবর পেয়ে এর মধ্যেই রেল স্টেশন এবং ট্রেনের কামরা স্যানিটাইজ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন আগ্রার রেল কর্তৃপক্ষ। জারি হয়েচে Covid-19 নিয়ে চূড়ান্ত সতর্কবার্তাও।