খ্যাতনামা চিকিৎসক সাইরিয়াক অ্যাবে ফিলিপসের দায়ের করা পিটিশনের প্রেক্ষিতে কোভিডের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির কার্যকারিতা নিয়ে কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। পিটিশনে চিকিৎসক দাবি করেছেন যাতে, কোভিডের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি পদ্ধতি সত্ত্বর বন্ধ করা হয়। তবে এর আগে, কোভিড সারাতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সায় দিয়েছিল কেন্দ্রের আয়ুষমন্ত্রক। আর সেই প্রেক্ষাপটেই এই ইস্যুতে কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া চেয়ে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ২৯ জানুয়ারি কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রক একটি স্বাস্থ্য পরামর্শে হোমিওপ্যাথি আরসেনিকাম অ্যালবাম ব্যবহারের কথা বলেছিল কোভিড রুখতে। আর কোনও রকমের ক্লিনিকাল টেস্ট ছাড়া এই হোমিওপ্যাথি ওষুধকে কোভিডের চিকিৎসায় কার্যকরী করার বার্তা কেন্দ্র কীভাবে দিয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলে পিটিশন দায়ের করেন চিকিৎক। এই পিটিশনের প্রেক্ষিতে জাস্টিস বিনীত সারান ও অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রককে নোটিস করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র ছাড়াও সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন হোমিওপ্যাথি, কেরল সরকারকেও নোটিস পাঠায় সুপ্রিমকোর্ট।
উল্লেখ্য, পিটিশনার চিকিৎসক ফিলিপসের পিটিশনের বিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ' প্রথাগত হোমিওপ্যাথিতে, আর্সেনিকাম অ্যালবাম দুটি অবস্থার জন্য ব্যবহৃত হয়, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগ এবং আর্সেনিক বিষক্রিয়ার জন্য। আয়ুশ নির্দেশিকা অনুসারে, ওষুধটি সম্প্রতি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতার (আইএলআই) জন্য নির্ধারিত হয়েছে এবং কোভিড -১৯ এর আলোকে তাই এটিকে প্রতিরোধক হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে।' উল্লেখ্য, চিকিৎসক ফিলিপ ছাড়াও এই মামলার অন্যতম পিটিশনার ছিলেন, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার আরও এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। পিটিশনে কেরল সরকারকেও নিশানা করা হয়। কারণ কোভিড রোধে কেরল সরকারও বড় আকারে এই হোমিওপ্যাথি ওষুধ প্রেসক্রাইব করে। এর আগে এই ইস্যুতে মামলাকারীরা কেরল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেক্ষেত্রে শিশুদের ওপর আরসেনিকাম অ্যালবামের ক্ষতিকারক প্রভাবের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন চিকিৎসকরা। পরবর্তী পর্যায়ে আইনি পদ্ধতিতে তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে।