জনস্বাস্থ্যের উপর করোনাভাইরাসের প্রভাব কতটা, তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পরিসংখ্যান প্রয়োজন। সেই মোতাবেক পরিকল্পনা নির্ধারণ করা যাবে। সেজন্য Covid-১৯ মৃত্যু নথিভুক্তের ক্ষেত্রে রবিবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)।
এগারো পৃষ্ঠার নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘জনস্বাস্থ্য করোনাভাইরাসের প্রভাব নির্ধারণ এবং মানুষের রক্ষায় সময়ভিত্তিক স্বাস্থ্য পরিকল্পনার জন্য় প্রত্যেক জেলা ও রাজ্য থেকে উপযুক্ত তথ্য প্রয়োজন। একইসঙ্গে মানুষের উপর অন্যান্য যে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলি প্রভাব ফেলছে, সেগুলির উপরও নজর রাখতে হবে, যাতে মানুষের প্রয়োজনমতো সাড়া দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রস্তুত থাকে।’
কোন কোন ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ হিসেবে Covid-১৯ উল্লেখ করা হবে, তা নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আইসিএমআরের তরফে জানানো হয়েছে, করোনার ফলে নিউমোনিয়া, হৃদরোগ, রক্ত জমাটের মতো সমস্যা হয়। তার ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ (আন্ডারলাইনিং কজ অফ ডেথ) হিসেবে Covid-১৯-কে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অ্যাজমা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস বা ক্যানস্যারের মতো কো-মর্বিডিটি অবস্থাগুলিকে রোগীর মৃত্যুর প্রাথমিক হিসেবে ধরা হবে না। কারোর যদি একাধিক কো-মর্বিডিটি থাকে, সেগুলির মধ্যে যে কারণে মৃত্যু হয়েছে, সেটিই শুধুমাত্র ডেথ সার্টিফিকেটে লিখতে হবে।
পাশাপাশি, করোনার উপসর্গ থাকা কারোর যদি মৃত্যু হয় এবং তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে বা চূড়ান্ত ফলাফল না জানা যায়, তাহলে তাঁর মৃত্যুকে ‘সম্ভাব্য করোনার মৃত্যু’-র তালিকায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে আইসিএমআর।