তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে হিংসা কবলিত এলাকায় তথ্য অনুসন্ধানের জন্য গিয়েছিল তৃণমূলের টিম। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁরা জাহাঙ্গিরপুরী গিয়েছিলেন। আর সেই টিমকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। কার্যত ফিরে আসতে হয়েছে ওই টিমকে। ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, প্রতিমা মণ্ডল, সাজদা আহমেদ, প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের নেতৃত্বে এদিন ওই টিম ঘটনাস্থলে কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে পুলিশের সঙ্গে বচসা বেধে যায় প্রতিনিধিদলের সদস্যদের। তবে টিমের দাবি, পেছনের রাস্তা দিয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলের কাছে গিয়ে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছি।এদিকে পুলিশের বাধাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে ওঠে।
তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের দাবি, আমরা স্থানীয় মহিলা ও বাচ্চাদের সহায়তায় পিছনের রাস্তা দিয়ে ঘটনাস্থলের কাছে গিয়ে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছি। নোট নিয়েছি। ছবিও তুলেছি। তাঁর আরও দাবি, সেদিন কী ঘটেছিল তা বিজেপি সরকার জানতে দিতে চাইছে না। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ বলেন, জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায় যেতেই আমাদের ব্য়ারিকেড করে ফেলা হয়। চারদিকে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। কারও সঙ্গে কথা বলতেই দেওয়া হয়নি। এদিকে দিল্লি পুলিশের তরফে খবর, তৃণমূলের প্রতিনিধিরা যে পথ ব্যবহারের চেষ্টা করেছিলেন তা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে এদিন সমাজবাদী পার্টি ও সিপিআই নেতৃত্বকেও এলাকায় ঘেঁষতে দেয়নি পুলিশ। বঙ্গ বিজেপির পালটা দাবি, তৃণমূল সব জায়গায় পেছনের দরজা দিয়েই ঢুকতে অভ্যস্ত।