অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও ভীতিহীন নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে নির্বাচন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও রকম শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করার আগে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসনকে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। শুক্রবার এই ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব, মুখ্য সচিব, প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ দফতরের সচিব এবং মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকদের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভোটের পরে নির্বাচন আধিকারিকদের নানান রকম হেনস্থা ও দোষারোপের নিশানা হতে হয়।
বলা হয়েছে, ‘অনেক সময়েই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিহিংসার ফলে ভুয়ো অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারের অধীনে কাজের মেয়াদশেষে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হয়।’
কমিশনের দাবি, এর ফলে নির্বাচন আধিকারিকদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। সৎ ও কর্মনিষ্ঠ আধিকারিকদের ধারণা হয় যে, তাঁদের যে কোনও সময় যে কোনও কাজে নিয়োগ করার নীতি নেওয়া হয়েছে।
কমিশনের মতে, এই সমস্ত আধিকারিকরা শুধুমাত্র অনুপ্রেরণাই হারিয়ে ফেলেন না, তাঁদের মনোবলেও চিড় ধরে। এর জেরে তাঁদের দক্ষতাও ধীরে ধীরে হ্রাস পায় এবং তার ফল ভোগ করে সমগ্র সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া। এই কারণে আধিকারিকরা পরবর্তীকালে সিইও পদে যোগ দিতে অনীহা বোধ করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টের নিদান অনুযায়ী নির্বাচন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে যেমন রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন ছাড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না, তেমনই কাজে গাফিলতি থাকলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার নির্দেশও অমান্য করা যাবে না। নির্দেশ অনুযায়ী, আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে একমাত্র নির্বাচন কমিশনই।