ভারতে তৈরি সম্ভাব্য প্রথম COVID-19 টিকা COVAXIN-এর প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের ক্লিনিকাল ট্রায়াল-এর সম্মতি দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। দেশের নির্দিষ্ট অঞ্চলে জুলাই মাসে শুরু হবে এই ট্রায়াল।
ICMR-এর সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টায় এই ভ্যাক্সিন তৈরি করেছে হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক। জানা গিয়েছে, সংক্রামক SARS-CoV-2 ভাইরাস থেকে তৈরি করা এই টিকা ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমণ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে নিরাপত্তা দিতে এবং মানব শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম বলে প্রমাণিত হয়েছে।
করোনা অতিমারীর মোকাবিলায় টিকা তৈরি করতে গোটা বিশ্বের ওষুধ উৎপাদকরা প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। এই দৌড়ে অন্যতম বৃহত্তম ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী দেশ হিসেবে ভারতও শামিল। দেশের একাধিক গবেষণাগারে করোনার ওষুধ তৈরির কাজ চলছে।
গত মে মাসে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে, সাধারণত এমন ওষুধ তৈরি করতে ১৫ বছর ধার্য করা হলেও অতিমারীর প্রকোপের জেরে সেই সময় কমিয়ে ১২ মাসে নামানো হয়েছে এবং তার জন্য ৩,০০০ কোটি মার্কিন ডলার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, করোনার ভ্যাক্সিন সৃষ্টির বিশ্বব্যাপী দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে সম্ভবত ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। মানব শরীরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি এই ভ্যাক্সিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ সফল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এ ছাড়া আমেরিকান সংস্থা মডার্না-র তৈরি করোনার সম্ভাব্য টিকারও আগামী জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে। অন্য দিকে, জুনের গোড়ায় আর এক মার্কিন সংস্থা জিলিড সায়েন্সেস জানিয়েছে, তীব্র করোনা সংক্রমণ দমনের জন্য তৈরি তাদের জীবাণুনাশক টিকা রেমডেসিভার-এর ৫ দিনের ট্রায়াল সফল হয়েছে।
করোনার দাওয়াই তৈরি করার দৌড়ে শামিল হয়েছে চিনও। চিনা সেনাবাহিনীর গবেষণাগারে তৈরি পোভিড রোধক ভ্যাক্সিনের কাজও প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স।