দেশি গরুর দুধে সোনার অস্তিত্ব আছে। গো-হত্যার ফলে ভূমিকম্প হয়। দেশের গরু কল্যাণের জাতীয় প্রতিষ্ঠানের প্রথম অনলাইন পরীক্ষার পাঠ্যক্রমে এমনই সব বিষয় থাকছে। যে পরীক্ষা হবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি।
রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী, ১৯৮৪ সালে ভোপালে গ্যাস দুর্ঘটনার জন্য ২০,০০০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু যে বাড়িগুলির দেওয়ালে গোবরের আস্তরণ ছিল, সেই বাড়িগুলিতে কোনও প্রভাব পড়েনি। একইসঙ্গে পাঠ্যক্রম অনুযায়ী, দেশি গরু বুদ্ধিমান এবং চালাক। তার ফলে নোংরা জায়গায় বসে না। কিন্তু জার্সি গরুগুলি কুঁড়ে এবং রোগপ্রবণ। অপরিচ্ছন্নতার ফলে জার্সি গরুর বেশি সংক্রমণ হয়। সঙ্গে পাঠ্যক্রম বলা হয়েছে, যখনই কোনও অপরিচিত মানুষ দেশি গরুর কাছে আসে, ‘তখনই সে দাঁড়িয়ে যায়। অপ্রাসঙ্গিক বিদেশি গরু কোনওরকম অনুভূতি প্রকাশ করে না।’
পরীক্ষার উদ্যোক্তা রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের তরফে জানানো হয়েছে, পাঠ্যক্রম অনুযায়ী কামধেনু গৌ-বিজ্ঞান প্রচার-প্রসার পরীক্ষায় সংক্ষিপ্তধর্মী মাল্টিপেল-চয়েস প্রশ্ন করা হবে। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং কলেজ পড়ুয়াদের জন্য পৃথক বিভাগ থাকবে। যে প্রার্থীরা পরীক্ষায় পাস করবেন, তাঁদের গরু বিশেষজ্ঞের শংসাপত্র প্রদান করা হবে।
আয়োগের চেয়ারম্যান বল্লবভাই কাথিরিয়া জানিয়েছেন, এবার থেকে প্রতি বছর পরীক্ষা হবে। পরীক্ষায় বসতে কোনও প্রবেশমূল্য লাগবে না। যে কেউ কামধেনু গৌ বিজ্ঞান প্রচার প্রসার পরীক্ষায় বসতে পারবেন। মূলত দেশি গরু নিয়ে আমজনতার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
একইসঙ্গে আয়োগের দাবি, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, সব রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, গৌ সেবা আয়োগ, সব রাজ্যের জেলার শিক্ষা আধিকারিক, সব স্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি পরীক্ষায় যুক্ত থাকবে।