FSSAI: অ্যান্টিবায়োটিক বেশি ব্যবহার করা যাবে না! পোলট্রি এবং মাছ চাষীদের জন্য সতর্কতা সরকারের

FSSAI: বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে অ্যান্টিবায়োটিকগুলি প্রাণী এবং মানুষের পাশাপাশি পরিবেশের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর।

পোল্ট্রি এবং মাছ চাষীদের জন্য সতর্কতা (Pexel)

মুরগির বাজারে নানা ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বাড়ছে। ব্রয়লার মুরগির ওজন বাড়ানোর জন্য এবং বেশি পরিমাণে ডিম উৎপাদনের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে মাছে রোগের বিস্তার রোধ করার জন্যও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। আর, প্রাণীদের শরীরে বেশি পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়াতে নভেম্বর মাসে বিশ্ব এএমআর দিবস পালিত হয়। সময়ে সময়ে কেন্দ্রীয় দুগ্ধ ও পশুপালন মন্ত্রকও এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করে। এবারও তার অন্যথা হয়নি।

এ প্রসঙ্গে উদ্বিগ্ন ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) এবং ফুড সেফটি অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এর কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটি। তাই প্রাণীদের উপর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার রোধে সিএসি এবার যৌথভাবে একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে। উভয় বিভাগের দলই পোলট্রি খামার এবং মাছের পুকুর পরিদর্শন করবে। মুরগি ও মাছ পালনকারী কৃষকদের সঙ্গে দেখা করবে। পোলট্রি ও মাছ চাষে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে তাঁদের আরও সচেতন করা হবে। এছাড়া স্কুলগুলোতেও এই সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হবে।

• অ্যান্টিবায়োটিকগুলি প্রাণীদের মধ্যে বিপজ্জনক কেন

প্রাণী বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে অ্যান্টিবায়োটিকগুলি প্রাণী এবং মানুষের পাশাপাশি পরিবেশের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর।  অনেক বেশি অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার প্রাণীদের মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) তৈরি করে। এএমআর এমন একটি পর্যায়, যেখানে কোনও রোগ নিরাময়ের জন্য দেওয়া ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এর কারণ,কিছু ব্যাকটেরিয়া অনেক ওষুধের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হয়ে উঠে ওষুধগুলি কার্যকর হওয়া বন্ধ করে দেয়। এই অবস্থাকে বলা হয় সুপার বাগ। প্রাণীর শরীরের সুপার বাগ অবস্থার কারণে ওই প্রতি বছর ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা যায়।

• অ্যান্টিবায়োটিকগুলি তাহলে কীভাবে ব্যবহার করা যাবে

১) শুধুমাত্র অসুস্থ মুরগি এবং তাদের সংস্পর্শে আসা মুরগির চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করুন।

২) রোগ প্রতিরোধের জন্য আগে থেকে অ্যান্টিবায়োটিকগুলি খাওয়াবেন না।

৩) রোগ প্রতিরোধ ও বিস্তার রোধ করতে খামারে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো প্রয়োজন, ভালো বায়ুচলাচলও থাকা উচিত।

৪) খামারে সামর্থ্যের বেশি পরিমাণে মুরগি রাখা উচিত নয়।

৫) পোলট্রি ফার্মে নিয়মিত নজর রাখুন। মুরগির স্বাস্থ্য যেন ভালো থাকে এবং তাদের আচরণে যাতে কোনও পরিবর্তন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।