বিশ্ব বাজারের ইতিবাচক প্রবণতার মধ্যেও ভারতে পরপর দু'দিন পড়ল সোনার দাম। বুধবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম ০.১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬,৬৭২ টাকা। তবে বেড়েছে রুপোর দর। এক কেজি রুপোর দাম ০.২১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬৯,৪৯০ টাকা।
গত সেশনে সোনার দাম পড়েছিল ০.২২ শতাংশ। ১.৫ শতাংশ পতনের সাক্ষী ছিল রুপো। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য ছিল, করোনাভাইরাসের ধাক্কা থেকে দ্রুত অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ফলে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কায় হলুদ ধাতুর উপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। গত অগস্টে ১০ গ্রাম সোনার দর রেকর্ড ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। তারপর থেকে সোনার দাম অনেকটা নীচে নেমে গিয়েছে। মোটামুটি একটা স্তরের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে হলুদ ধাতুর দর। আপাতত রেকর্ড দরের থেকে প্রায় ১০,০০০ টাকা কম আছে ১০ গ্রাম সোনার দাম।
এদিকে মার্কিন ফেডারেল ব্যাঙ্কের প্রধান জেরোম পাওয়েল জানিয়েছেন, অর্থনীতির এখনও সাহায্যের প্রয়োজন থাকায় সেভাবেই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আর্থিক নীতি রাখা হবে। তার ফলে বিশ্ব বাজারে সোনার দাম উর্ধ্বমুখী হয়েছে। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৮০৯.১৭ ডলার। অন্যান্য দামী ধাতুর মধ্যে রুপো, হীরের দরও বেড়েছে। এক আউন্স রুপোর দাম ০.৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৭.৭৩ ডলার।
জিয়োজিত্ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের তরফে জানানো হয়েছে, এক আউন্স সোনার দাম ১,৭৬০ ডলারে জোরদার সহায়তা থাকা পর্যন্ত হলুদ ধাতুর ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া চালু থাকতে পারে। তবে ১,৭৫৫ ডলারের নীচে গেলে তা গুরুতর বিক্রির চাপের প্রাথমিক ইঙ্গিত হিসেবে ধরা হবে। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনা ৪৭,৪৫০ টাকায় বাধা পাবে। আর সহায়তা আছে ৪৫,৩০০ টাকায়।