বিশ্ব বাজারে দুর্বলতার জেরে সোমবার ভারতেও চাঙ্গা হতে পারল না সোনা। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ৪৭,৩০৯ টাকায় থাকল। তবে সামান্য বেড়েছে রুপোর দাম। সেইসঙ্গে ধরে রেখেছে ৭০,০০০ টাকার স্তর। এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম ০.৩৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০,৪২৫ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আপাতত ভারতীয় বাজারের ৪৬,৬৫০ টাকায় সহায়তা পাচ্ছে সোনা। বাধা পাচ্ছে ৪৭,৬০০ টাকায়। গত বছর অগস্টে ১০ গ্রামের দর ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছে যাওয়ার পর চলতি বছরে ভারতীয় বাজারে মোটের উপর দুর্বল থেকেছে সোনা। একটা সময় দাম বাড়লেও গত মাসে হুড়মুড়িয়ে পতনের সাক্ষী থেকেছে হলুদ ধাতু।
অন্যদিকে, বিশ্ব বাজারে সোনার দাম নিম্নমুখী থেকেছে। শক্তিশালী ডলারের উপর ভর করে এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১,৭৮৫.৪১ ডলার। গত সেশনে সোনার দাম দু'সপ্তাহের সর্বোচ্চ স্তরে ছিল। জিয়োজিতের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে একটি নির্দিষ্ট স্তরের মধ্যে সোনার দামের হেরফের হবে। কিন্তু এক আউন্স সোনার দাম যদি ১,৭৪৫ ডলারের স্তরে নেমে যায়, তাহলে স্বল্পকালীন সময় বড়সড় পতনের সাক্ষী থাকবে হলুদ ধাতু। আবার যদি ১,৮০০ ডলারের উপর চলে যায়, তাহলে স্বল্পকালীন সময় বেড়ে যাবে সোনার দাম। আপাতত আগামী বুধবারের দিকে নজর আছে লগ্নিকারীদের। কারণ সেদিন মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভের শেষ বৈঠকের বিষয়বস্তু সামনে প্রকাশ করা হবে।
তারইমধ্যে রেলিগে ব্রোকিংয়ের সুগন্ধা সচদেব জানিয়েছেন, ভারতীয় বাজারে অদূর ভবিষ্যতে সোনা ঘুরে দাঁড়াতে পারে। প্রাথমিকভাবে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৭,৫০০ টাকার দিকে এগিয়ে যাবে হলুদ ধাতু। আগামিদিনে তা আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ৪৮,১০০ টাকার কাছে পৌঁছে যেতে পারে। উলটোদিকে ৪৬,৫০০ থেকে ৪৬,৩০০ টাকার সহায়তার স্তরে নেমে গেলে বিক্রয়ের চাপ বাড়বে। তার জেরে সোনার সহায়তার স্তরে ৪৫,৫০০ টাকা থেকে ৪৫,৩০০ টাকায় নেমে যাবে।