গোহত্যার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দায়ের মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল জাতীয় নিরাপত্তা আইন। তবে মামলা থেকে সেই আইনের ধারাকে খারিজ করল এলাহাবাদ হাই কোর্টের লখনউ বেঞ্চ। আদালত এই প্রেক্ষিতে পর্যবেক্ষণ দিয়ে বলে, 'কেউ যদি দারিদ্রের কারণে নিজের বাড়ির অভ্যন্তরে গোহত্যা করে থাকে তাহলে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়। এটা এমন ঘটনা নয় যেখানে জনসমক্ষে অনেক গরুকে হত্যা করা হয়েছে বা গোমাংস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এক জায়গা থেকে অন্য কোথাও।'
আদালতের তরফে আরও বলা হয়, এররম কোনও প্রমাণ মেলেনি যা থেকে এই দাবি করা যায় যে উল্লেখিত ব্যক্তিরা ফের এই ধরনের ঘটনা ঘটাবেন। উল্লেখ্য, গোহত্যার দায়ে ইরফান, রহমতউল্লা এবং পারভেজের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। তাতে জাতীয় নিরাপত্তা আইন জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। এর প্রতিবাদেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তিন অভিযুক্ত। তাদের দাবি ছিল যে তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের ধারায় যাতে মামলা না হয়।
গতবছরের জুলাই মাসে ইরফান, রহমতউল্লা এবং পারভেজকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর থানার পুলিশ। এই তিন ধৃতের বিরুদ্ধে গোহত্যা বিরোধী আইনের ধারায় মামলা করা হয়। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা আইনেও মামলা দায়ের করা হয়।