দিল্লি হাইকোর্টে ধাক্কা খেল ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ। নয়া গোপনীয়তা নীতি নিয়ে কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার (সিসিআই) জারি করা নোটিশে স্থগিতাদেশ দিল না বিচারপতি অনুপ জয়রাম ভামবানি এবং বিচারপতি জসমিত সিংয়ের অবসরকালীন বেঞ্চ।
বুধবার হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, আগে যে আবেদন করা হয়েছিল তার সঙ্গে বর্তমানে যে আবেদন করা হয়েছে, তাতে বড় এতটা অংশ একই আছে। সেই কারণে গত ৪ জুন জারি করা নোটিশের উপরে স্থগিতাদেশ দেওয়ার বিষয়টি যুক্তিযুক্তি বলে মনে করা হয়নি। স্পষ্টভাবে হাইকোর্ট জানিয়েছে, চলতি মাসে সিসিআইয়ের তরফে যে নোটিশ জারি করা হয়েছিল, তা যে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার (গত ২৪ মার্চের নির্দেশ মেনে শুরু হওয়া মামলা) এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি পদক্ষেপ, সেই বিষয়ে কোনও ধন্দ নেই। সেইসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘সিসিআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেলের কাছে আমরা আর্জি জানাচ্ছি যে তিনি যেন মাথায় রাখেন, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়টি এই আদালতের একটি ডিভিশন বেঞ্চের সামনে বিচারাধীন আছে।’
সিসিআইয়ের তদন্তের বিরুদ্ধে আগেই আবেদন করেছিল ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ। তা খারিজ করে দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আবারও আবেদন করা হয়েছে। নয়া যে আবেদন করেছিল ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ, তাতে কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার জারি করা নোটিশের উপর স্থগিতাদেশের আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই নোটিশে তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিসিআই। হোয়াটসঅ্যাপকে ৪ জুন নোটিশ জারি করা হয়েছিল। ফেসবুকের উদ্দেশে নোটিশ গিয়েছিল ৮ জুন।
বুধবার হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী হরিশ সালভে এবং ফেসবুকের আইনজীবী মুকুল রোহতগি দাবি করেন, নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তথ্য দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছেন সিসিআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল, তা থেকে স্পষ্ট যে ডিভিশন বেঞ্চের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করেই তিনি আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন। যা বিচার ব্যবস্থার নাগাল এড়িয়ে যাওয়ার সামিল। তাই সেই নোটিশে স্থগিতাদেশ দেওয়া উচিত। যদিও অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল আমন লেখি ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপের আবেদনের বিরোধিতা করেন। তিনি পালটা সওয়াল করেন, আপাতত তথ্য সংগ্রহের পর্যায়ে আছে তদন্ত। তা নিয়ে কোনও নির্দেশ দেবে না সিসিআই। যে তদন্তে নোটিশ জারি করেছে সিসিআই, তাতে স্থগিতাদেশ দেয়নি হাইকোর্ট। আর এই প্রথম ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপকে কোনও নোটিশ জারি করা হয়নি।