উৎকর্ষ আনন্দ
বেআইনী খনি দুর্নীতিকে ঘিরে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট সমন জারি করেছিল ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তবে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন শুনতে চায়নি। হাইকোর্টে যাওয়ার জন্য জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।বিচারপতি অনিরূদ্ধ বোস, বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ জানিয়েছে, আপনি হাইকোর্টে যাচ্ছেন না কেন? আপনি হাইকোর্টে চলে যান। এদিকে হেমন্ত সোরেনের আইনজীবী মুকুল রোহতাগি জানিয়েছিলেন, ইডি তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে বেআইনি পদক্ষেপ করছে। তবে বিচারপতিরা জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে তিনি চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন।
রোহতাগি জানিয়েছেন, সেকশন ৫০ ও সেকশন ৬৩ নিয়েও তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। তবে আইনজীবীর বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু।
তবে বিচারপতিরা জানিয়েছেন, আমরা মনে করি সবটা হাইকোর্টে শুরু হওয়া দরকার। এখানে নয়।
প্রসঙ্গত রবিবার ২৩ সেপ্টেম্বর দেখা করার জন্য হেমন্ত সোরেনকে সমন জারি করেছিল ইডি। রবিবার এই সমন জারি করা হয়েছিল। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর দেখা করার জন্য় সমন জারি করা হয়েছিল। কিন্তু সেদিন তিনি দেখা করেননি। তবে সেদিনই শীর্ষ আদালতে এই মামলাটা তোলার কথা ছিল।
এদিকে গত বছর নভেম্বর মাসে তিনি ইডির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন। এই বেআইনি খনি মামলায় পঙ্কজ মিশ্র অন্যতম অভিযুক্ত। তিনি বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
তবে এবার পঞ্চম সমন জারি হল হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে। গত ১৪ অগস্ট ইডিকে চিঠি দিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। তিনি জানিয়েছিলেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য়প্রণোদিতভাবে গণতান্ত্রিকভাবে তৈরি হওয়া একটা সরকারকে ভেঙে দিতে চাইছে ইডি। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর কত সম্পত্তি রয়েছে, কতটা সম্পত্তি তাঁর অধীনে রয়েছে এনিয়ে একটি বক্তব্য নথিভুক্ত করার জন্য বলা হয়েছিল।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টে সোরেন আবেদন করে জানিয়েছিলেন, তাঁকে ভয় দেখানোর, অপমান করার সব চেষ্টা করা হচ্ছে। ইন্ডিয়া জোট যখন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে তখনই এসব করছে ইডি। একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে ভেঙে ফেলার জন্য় চক্রান্ত করা হচ্ছে।