তাঁর একটি রায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশ জুড়ে। এবার ফের এমন একটি রায় দিলেন বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা যেটা নিয়ে বিতর্ক হতে বাধ্য। হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ বলেছে যে কোনও নাবালিকার হাত ধরা বা তার সামনে প্যান্টের চেন খোলা পকসো আইনের ধারায় যৌন হেনস্থা নয়। ৫০ বছরের এক শ্রমিককে মুক্তি দিয়ে এই রায় জানায় আদালত।
বিচারপতি বলেন যে নাবালিকার হাত ধরা বা তাঁর সঙ্গে প্যান্টের চেন খোলা আদালতের সংজ্ঞা অনুযায়ী যৌন হেনস্থা নয়। এই বিচারপতিই আগে বলেছিলেন যে পকসো আইনের আওতায় নাবালিকার বুকে সরাসরি হাত না দিলে সেটা যৌন হেনস্থা নয়। জামার ওপর দিয়ে হাত নয়, পকসো আইন স্কিন টু স্কিন কনট্যাক্টের কথা বলা হয়েছে। এই রায়ের ওপর যদিও স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বর্তমানে যে কেসের রায় নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে, সেই ঘটনাটি ২০৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারির। অভিযোগকারিনী তাঁর নাবালিকা মেয়েদের বাড়িতে রেখে কাজ করতে গিয়েছিলেন। ফিরে দেখেন যে একজন অজানা লোক তাঁর পাঁচ বছরের মেয়ের হাত ধরে বসে আছে। কুজুর নামের এই লোক কিছুতেই হাত ছাড়তে চাইছিল না, মহিলা চিৎকার করার পরেই হাত ছাড়ে সে। তখন মহিলা দেখেন যে লোকটির প্যান্টের চেন খোলা ও মেয়েটি নিজের প্যান্ট তুলে পরছে। প্রশ্ন করায় বাচ্চাটি জানায় যে লোকটি তার গোপনাঙ্গ প্রদর্শন করেছিল ও তাকে ঘুম পাড়িয়ে দেবে বলেছিল।
কুজুরের বিরুদ্ধে পকসো আইনের আওতায় মামলা শুরু হয় ও গত বছর গাচ্চিরোলির পকসো আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। পাঁচ বছরের জন্য জেলে পাঠানো হয় এই ব্যক্তিকে। কিন্তু যথেষ্ট প্রমাণ নেই বলে গুরুতর যৌন হেনস্থার যে অভিযোগ ছিল, সেটা খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। এই মজদুরকে আইপিসির 354-A(1)(i) ধারায় পাঁচ মাসের জেলের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ইতিমধ্যেই সেই মেয়াদ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।