বিজেপির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে একেবারে চোরাস্রোত বইছে। এবার শুধু বিরোধীদের একজোট হতে হবে। জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। একটা বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গির আহ্বান জানালেন রাহুল।
সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, ভারত জোড়ো যাত্রা মানুষকে অন্য়ভাবে ভাবার একটা পরিকাঠামো তৈরি করে দিয়েছে। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধীদের মধ্যে একটি পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকা দরকার। বিজেপিকে আটকানোর জন্যই এটা প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিরোধীরা যদি কার্যকরীভাবে একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে দাঁড়ায় তবে বিজেপির পক্ষে জেতা বেশ কঠিন। তবে বিরোধীদের মধ্যে সমণ্বয় রাখা ও বিকল্প একটা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মানুষের সামনে যাওয়া দরকার।
নিজের দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করে রাহুল গান্ধী বলেন, ভারতকে একটি উৎপাদনশীল দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। ভাড়া চাওয়ার দেশ নয়। ভারতের একটি শিক্ষা পলিসি থাকা দরকার। মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল সার্ভিস, আইন পেশার বাইরেও ভারতের ছেলেমেয়েদের উল্লেখযোগ্য ভাবে অন্য কিছু ভাবার সুযোগ করে দিতে হবে।
পাশাপাশি একটি সুস্পষ্ট বৈদেশিক নীতি তৈরির ব্যাপারেও সওয়াল করেন তিনি। একটি বিভ্রান্তিকর পলিসি ও বৃহত্তর অর্থনৈতিক সাম্যতার পক্ষে আওয়াজ তোলেন তিনি।
রাহুল বলেন, আমরা চাই বড় ব্যবসা আসুক। অর্থনীতিতে তাদের কেন্দ্রীয় ভূমিকা থাকে। তবে তার মানে এটা নয় যে দু তিনজন লোক এটা নিয়ন্ত্রণ করবেন।
রাহুল গান্ধী বলেন, বিজেপিকে আমার গুরু হিসাবে মানি। কারণ বিজেপি রোডম্যাপ দেখিয়েছে, আমাদের শিখিয়েছে কোনটা করা উচিত নয়। কার্যত কিছুটা রসিকতা করে ও গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দিয়েই তিনি একথা বলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই বিজেপি যেন আমাদের আরও জোরালো আক্রমণ করে। তাতে কংগ্রেস দলের তাদের আদর্শ বুঝতে সুবিধা হবে। আমি ওদের (বিজেপি) গুরু হিসাবে মনে করি। তারাই রাস্তা দেখিয়েছে, আর আমাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে যে কোনটা করা ঠিক নয়।
ভারত জোড়ো যাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথমদিকে যখন এই যাত্রা করেছিলাম তখন ভেবেছিলাম এটা হয়তো কোনও সাধারণ যাত্রা। তবে এই যাত্রার একটা আওয়াজ আছে, অনুভূতি আছে।
তিনি বলেন, যাত্রার দরজা সবার জন্য় খোলা। কাউকে আমরা আটকাবো না। অখিলেশজী, মায়াবতী জী আর অন্যান্যরা চাইছেন মহব্বত কা হিন্দুস্তান। জোটের পক্ষেও সওয়াল রাহুলের।