কয়েরদিন আগেই প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বর্তমানে বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল ওষুধ মজুত করা নিয়ে। সেই প্রেক্ষিতে মামলাও দায়ের হয়েছিল গৌতমের বিরুদ্ধে। মামলার শুনানি চলাকালীন দিল্লি হাইকোর্ট গৌতমকে ভর্ৎসনা করে বলে, বাজারে যখন ওষুধের আকাল, তখন ওষুধ মজুত রেখে ঠিক কাজ করেননি গৌতম গম্ভীর।
এর প্রেক্ষিতে গৌত গম্ভীর এবার পালটা দাবি করেন, 'আমার বিরুদ্ধে হাজার খানা জনস্বার্থ মামলা হলেও আমি মানুষকে সাহায্য করা ছাড়ব না।' এদিন বিজেপির দিল্লি ইউনিটের অফিসে সাংবাদিদের মুখোমুখি হয়ে গৌতম গম্ভীর বলেন, 'আমি রাজনীতিতে এসেছি মানুষকে সাহায্য করতে এবং তাদের জীবন বাঁচাতে। আমি হাজার জনস্বার্থ মামলা হলেও ভয় পাব না।'
এরপর গৌতম গম্ভীর আরও বলেন, 'আদালত যেই রায় দেবে, আমরা তা মাথা পেতে নেব। তবে ভবিষ্যেতে যখনই ফের মানুষকে সাহায্য করার সুযোগ আমার সামনে আসবে, আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে করব। মানুষের দীবন বাঁচানোই রাজনীতির মূল অর্থ।'
উল্লেখ্য, করোনার গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ ফাবিফ্লু মজুত করে রাখায় গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লি ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগকে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের প্রশ্ন, বাজারে এই ওষুধএর সরবরাহ কম, এই পরিস্থিতিতে কীভাবে এই ওষুধ হাতে পেলেন বা মজুত করলেন গৌতম গম্ভীর? যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে রয়েছেন পূর্ব দিল্লির সাংসদ।
এর প্রেক্ষিতে আদালতকে গৌতম গম্ভীর জানিয়েছিলেন, মানুষকে সাহায্য করতে সৎ উদ্দেশে এই ওষুধ সংরক্ষণ করা হয়েছিল। তবে এই জবাবের প্রেক্ষিতে আদালত পালটা জানায়, এই সঙ্কট মুহূর্তে এমন একটা ওষুধ সংরক্ষণ করা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। এছাড়া দিল্লির উচ্চ আদালত রায় দেয়, রাজনৈতিক নেতারা করোনার ওষুধ মজুত করতে পারবেন না।