মারা গেলেন পিট ফ্রেটস। গত সাত বছর ধরে এএলএল রোগে ভুগছিলেন তিনি। তাঁর এএলএস রোগের সঙ্গে যে যুদ্ধ, সেটি থেকেই শুরু হয়েছিল আইস বাকেট চ্যালেঞ্জ। দ্রুত ভারত সহ গোটা বিশ্বে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে আইস বাকেট চ্যালেঞ্জ। সবাই যে এর পিছনের উদ্দেশ্যটা বুঝেই এই চ্যালেঞ্জটি করেছিলেন তা নয়। কিন্তু অনেকটা প্রচার ও সচেতনতা বৃদ্ধি হয় এএলএস সম্বন্ধে। লক্ষ লক্ষ ডলার ওঠে এএলএস নিয়ে গবেষণার জন্য।
এদিন সকালে বস্টন কলেজের তরফ থেকে জানান হয়েছে যে সোমবার মারা গিয়েছেন পিট। বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৪। প্রাক্তন বেসবল অধিনায়ক পিট ম্যাচাচুসেটসে নিজের বাড়িতে থাকতেন। ২০১২ সালে এই নিউরোডিজানেরেটিভ অসুখ ধরা পড়ে তাঁর।
এএলএসের জন্য কোনও চিকিত্সা ছিল না। গবেষণার জন্য অর্থের জন্য সেলিব্রটিদের দিয়ে আইস বাকেট চ্যালেঞ্জ করান ফ্রেট। যেখানে বরফ ভর্তি একটা বালতি থেকে স্নান করতে হবে। জর্জ বুশ, লেডি গাগা, বিল গেটস প্রভৃতি এই চ্যালেঞ্জটি খেলেন। ফ্রেটস তখন বলেছিলেন যে এএলএস নিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পেরে তিনি খুশি। প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার একটা কারণ এর মধ্যে দিয়ে খুঁজে পেয়েছেন তিনি বলে জানান ফ্রেটস।
সব মিলিয়ে ২০০ মিলিয়ন ডলার ডোনেশন পায় এএলএস অ্যাসোসিয়েশন। ২০১৭ সালে একটি ওষুধ পেটেন্ট পেয়েছে যেটি কিছুটা হলেও এএলএস-এর প্রভাবকে কমাতে পারে। পিট ফ্রেটস মারা গেলেও এএলএস সম্বন্ধে সচেতনা বৃদ্ধিতে তাঁর অবদান মনে রাখবে দুনিয়া।