মেঘালয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি। গুরুতর অভিযোগ উঠল মেঘালয় বিজেপির সহ-সভাপতি বার্নার্ড এন মারাকের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে শিশু পাচারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, পশ্চিম গারো হিল জেলার তুরা অঞ্চলে তিনি শিশু পাচারের সঙ্গে জড়িত। তার পর থেকেই তাকে গ্রেফতারের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে পুলিশ। যদিও এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন এই বিজেপি নেতা। বার্নার্ড জানিয়েছেন, তিনি পলাতক নন। পুলিশকে তদন্তে সবরকম ভাবে সহযোগিতা করবেন।
শিশু পাচারের অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বিজেপি নেতা পাল্টা অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক কারণে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরাসরি তিনি মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন। উল্লেখ্য, মেঘালয় পুলিশের দাবি,ন গত শনিবার বার্নার্ডের মালিকাধীন একটি রিসোর্টে অভিযান চালানোর পর ৬ টি শিশু উদ্ধার হয়। এরপরে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে শিশু পাচারের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় ৭৩ জনকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় পুলিশ। তাদের সকলকে আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, যে রিসর্টে খুব সম্ভবত যৌনপল্লী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিজেপি নেতা ও তাঁর স্ত্রী। যেসব শিশুদের উদ্ধার করা হয়েছে, তারা এখনও এতটা শকের মধ্যে রয়েছে যে স্পষ্ট করে কথা বলতে পারছে না।
তবে বার্নার্ড এই অভিযোগকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ওই রিসোর্টে কোনও অন্যায় কাজ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নির্দেশে বিনা ওয়ারেন্টে সেখানে অভিযান চালানো হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বলে বার্নার্ড অভিযোগ করেছেন। একইসঙ্গে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের কেউই কোনওরকমের অশ্লীল কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত নয় বলেই দাবি বিজেপি নেতার। পাশাপাশি যে সমস্ত শিশুদের উদ্ধার করা হয়েছে তারা পড়াশোনার জন্য ছিল বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা। তাঁর দাবি পুরনো একটা পসকো মামলার সঙ্গে এটিকে জড়িয়ে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। যদিও সেই মামলাটিতে তাঁর নাম ছিলই না বলে জানিয়েছেন এই নেতা। যদিও এই অভিযোগ ওঠার পর বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে বিজেপি।