বিরোধীদের সার্বিক অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে কি বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে? সেটাই বড় চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মহলে। তবে আওয়ামী লিগ সরকারের দাবি, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিরপেক্ষ এবং প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তা পর্যবেক্ষণের জন্য বিদেশি রাষ্ট্রদূত আহ্বান জানাল বাংলাদেশ সরকার।
শুক্রবার এই বিষয় নিয়েই একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল সরকারের তরফে। যে বৈঠকে ৯০টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন এই বৈঠকে বিদেশি প্রতিধিনিদের কাছে আহ্বান জানান বাংলাদেশ সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার। শনিবার বাংলাদেশ হাই কমিশনে একটি সাংবাদিক বৈঠকে এ খবর তিনি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। তিনি বলেন,'সব কিছুই বেশ ভাল ভাবে চলছে। তবে বিরোধীদের একাংশ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটনানোর চেষ্টা করছে। এক ফলে কিছু ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। বৈঠকে বিদেশি প্রতিনিধিদের কাছে আমি পরিস্থিতি বিস্তারিত ভাবে বলেছি। তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য।'
ভাতের পক্ষে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রা।
বাংলাদেশের বিদেশ সচিব জানান, বিদেশি প্রতিনিধিদের অনেকেই আমাদের বক্তব্য বুঝতে পেরেছেন। তাঁরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতিনিধি পাঠাতে রাজি হয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার এই প্রতিনিধি দলকে সব রকম সাহায্য।
নির্বাচন পরিস্থিতি প্রসঙ্গে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে মোমেন জানিয়েছেন, 'বর্তমানে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া এবং তা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। আওয়ামী লিগ, জাতীয় পার্টি এবং আরও অনেক উদীয়মান দল অংশ নিয়েছে। সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। এই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলছে। তবে বিএনপি বা অন্য বিরোধী দল যদি নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয় তবে সময়সীমা বাড়ানো যেতে পারে বলে এক নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন। তবে বর্তমানে অবস্থা বেশ দোদুল্যমান হয়ে রয়েছে।'
বিএনপি-র সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে মোমেন বলেন,'তারা ইতিমধ্যে বেশ কিছু শর্ত লাগিয়ে রেখেছে। যে শর্তগুলির মধ্যে প্রধান হল কেয়ারটেকার সরকারকে দিয়ে নির্বাচন করানো। এর ফলে আলোচনার সুযোগ তেমন দেখা যাচ্ছে না।'
অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে আমেরিকা হস্তক্ষেপ করছে। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে সে দেশের বিদেশ সচিব বলেন, 'কোনও দেশই হস্তক্ষেপ করছে না। তবে অনেক দেশ আমাদের উন্নয়নের অংশীদার। তাদের পরামর্শ আমরা শুনি।' ভারতের সহযোগিতা প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, 'সংবিধান মেনে জনতার রায় নিতে ভারত সব সময় আমাদের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে। '