মঙ্গলবার বৈঠকে বসছে বিরোধীদের মঞ্চ 'ইন্ডিয়া'। প্রায় সাড়ে তিন মাস পর হচ্ছে এই বৈঠক। সূত্রে খবর, কোন পথে আসন ভাগাভাগি হবে তা নিয়েই বৈঠক আলোচনা হতে পারে। তবে তৃণমূল এ নিয়ে তাদের আগের সূত্রেই স্থির থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
কী ছিল আগে সূত্র? যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে সেই দলই সেই রাজ্যে শেষ কথা বলবে। এই সূত্রেই মঙ্গলবারের বৈঠকে রাখতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের দাবি, সূত্র মেনে নেবে সকলেই। তবে প্রশ্ন উঠছে, কংগ্রেসের মতো সর্বভারতীয় দলগুলি কী এই সূত্র মেনে নেব? তৃণমূলের দাবি, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের দর কষাকষির জায়গাটা অনেকটাই সঙ্কুচিত হয়েছে। তাই সাফল্য পেতে তাদের সূত্রই মানতে হবে বলে মনে করছে ঘাসফুল শিবির।
তবে অঙ্ক যাই হোক না কেন এবার আসন সমঝোতার ব্যাপারটি দ্রুত নিষ্পত্তি করে ফেলতে হবে বলে মনে করছে জোট নেতৃত্বের অনেকেই। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিষয়টি ইন্ডিয়ার বৈঠকে মঙ্গলবার আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
এছাড়া ইন্ডিয়ার একটি সচিবালয় তৈরি বিষয়েও আলোচনা হতে পারে আজকের বৈঠকে। জোটের অর্ন্তভুক্ত দলগুলির মুখপাত্রদের নিয়ে একটি প্যানেল গঠিত হবে। সেই প্যানেলে নিয়ে আজ কথা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
(পড়ুন। ‘এটা আমারও পরীক্ষা,’ লোকসভা ভোটের আগে কেন একথা বললেন মোদী?)
এর আগে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে আসন সমঝোতা করে ফেলার কথা বলেছিল তৃণমূল। কংগ্রেস এ নিয়ে বিবেচনা করার জন্য আবেদনও করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কংগ্রেস তাতে রাজি হয়নি। তৃণমূলের দাবি এ ব্যাপারে সব বেশি আপত্তি জানিয়েছিল সিপিএম। তবে এবার বেশি আর দেরি করলে জেলার জেলায় প্রচারের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে। তাই দ্রুত আসন সমঝোতা সেরে ফেলতে চাইছে তৃণমূল।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই রফাসূত্র কতটা মনে নেবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। কারণ তাতে সংখ্যাধিক্যের নিরীখে বিহারে নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদব, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তামিলনাড়ুতে এম কে স্ট্যালিন, মহারাষ্ট্রে উদ্ধবপন্থী শিবসেনা এবং এনসিপি, উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ সিংহ যাদব, পঞ্জাব এবং দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরীওয়ালই আসন রফা নিয়ে শেষ কথা বলবেন। সেক্ষেত্রে কর্নাটক বা তেলঙ্গানার বাইরে সেভাবে প্রার্থী দিতে না পারার ফলে দলেরই অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। মঙ্গলবারের বৈঠকের দিকে নজর রাখছে গেরুয়া শিবিরও।