শিশির গুপ্ত ও রাহুল সিং
প্রথমবার সাফল্য মেলেনি। কিন্তু দ্বিতীয়বারেই ফুল মার্কস নিয়ে পাশ করল ভারত। সোমবার সকালে ওড়িশা উপকূলের বালাসোরের এপিজে আবদুল কালাম টেস্টিং রেঞ্জ থেকে সাফল্যের সঙ্গে ‘হাইপারসনিক টেকনোলজি ডেমোনস্ট্রেটর ভেহিকেল’-র পরীক্ষা করা হল। যা দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বড়সড় পদক্ষেপ বলে মত আধিকারিকদের।
আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পর বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে সেই হাইপারসনিক প্রযুক্তির পরীক্ষায় সফল হয়েছে ভারত। হাইপারসনিক প্রযুক্তির পরীক্ষার নেতৃত্বে ছিলেন ডিআরডিও প্রধান সতীশ রেড্ডি ও তাঁর হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দল।
সোমবার সকালে অগ্নি মিসাইল বুস্টার ব্যবহার করে হাইপারসনিক প্রযুক্তির পরীক্ষা করা হয়। সেই বুস্টার হাইপারসনিক ভেহিকেলকে ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় নিয়ে যায়। তারপর অগ্নি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেটি। সফলভাবে স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন চালু করা হয়। এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, আগেভাগে নির্ধারিত সব মাপকাঠিতেই উতরে গিয়েছে হাইপারসনিক ভেহিকেল।
আর সেই সাফল্যের পালক মুকুটে জুড়ে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) আবারও বোঝাল, অত্যন্ত জটিল প্রযুক্তি তৈরি করতেও সক্ষম তারা। যা আরও আধুনিক হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরির ভিত্তি হবে। যে অস্ত্রগুলি শব্দের থেকে ছ'গুণ বেশি গতি সম্পন্ন।
সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তারা জানিয়েছেন, পরীক্ষা সফল হওয়ার অর্থ হল আগামী পাঁচ বছরে স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পারবে ডিআরডিও। যা প্রতি সেকেন্ডে দু'কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করতে পারে।
সফল পরীক্ষার পর টুইটারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, 'দেশীয়ভাবে তৈরি স্ক্র্যামজেট পপুলেশন সিস্টেম ব্যবহার করে আজ হাইপারসনিক টেকনোলজি ডেমোনস্ট্রেটর ভেহিকেলের সফল পরীক্ষা করেছে ডিআরডিও। এই সাফল্যের ফলে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি তৈরি আছে। আত্মনির্ভর ভারত মিশন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যকে বাস্তব পরিণত করার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সাফল্যের জন্য ডিআরডিওকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং এই দুর্দান্ত সাফল্যের জন্য তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছি। ভারতে তাঁদের জন্য গর্বিত।'