এবার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও নিবিড় করতে বিশেষ উদ্যোগ। নদী, জলসম্পদ, খাদ্য সুরক্ষা, বাণিজ্য,আবহাওয়ার পরিবর্তন, অচিরারিত শক্তি, ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে দুই দেশ পারস্পরিক সমণ্বয় বৃদ্ধি করতে চাইছে বলে খবর।
এনিয়ে দিল্লিতে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীস্তরে মিটিংও হয়েছে। সেখানে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন। মায়ানমার থেকে চলে আসা রোহিঙ্গা যারা বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়েছে তাদের ফেরৎ পাঠানোর ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
২০২১এ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর ও ২০২০ সালের ভার্চুয়াল মিটিংয়ে যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল সেগুলি বাস্তবায়িত করার ব্যাপারেও দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে দুদেশের মানুষের স্বার্থ সুরক্ষা করতে পরস্পরের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রক্ষার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে।
এদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থার উন্নতিতে সহযোগিতা করতে চায় ভারত। সাইবার সিকিউরিটির মতো ক্ষেত্রতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায় ভারত।
সুন্দরবন এলাকাতেও পরিবেশ রক্ষায় দুদেশ একযোগে কাজ করবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে দুদেশ সীমান্ত সুরক্ষা, বাণিজ্য়ে হাতে হাত ধরে কাজ করবে। যে সমস্ত নদী দুদেশের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে তার উন্নয়নে দুদেশ সমণ্বয় রেখে কাজ করবে। বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে ভারত। জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, বন্যা মোকাবিলা ও ত্রাণে কোনও সহায়তার প্রয়োজন হলে আমরা তা করব।