মার্কিন মুলুকে খলিস্তানিদের হামলা ভারতীয় কনসুলেটের ওপর। ঘটনাটি ঘটেছ সান ফ্রান্সিসকোতে। কনসুলেট ভবনে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ভবনের এক অংশে। এই ঘটনার তীব্র ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট। একটি স্থানীয় টিভি চ্যানেল 'দিয়া টিভি'র প্রতিবেদনে বলা হয়, খলিস্তানি উগ্রপন্থীরা ভারতীয় কনসুলেটে আগুন লাগিয়ে দেয়। অগ্নি সংযোগের ঘটনাটি ঘটে ২ জুলাই স্থানীয় সময় ভোররাত দেড়টা থেকে আড়াইটের মধ্যে। পরে অবশ্য আগুন লাগার খবর পেয়ে সান ফ্রান্সিসকো ফায়ার ডিপার্টমেন্টের কর্মী এবং ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিভিয়ে ফেলা হয়। ঘটনায় ভারতীয় কনসুলেটের কোনও কর্মী আহত হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার পর খলিস্তনি উগ্রপন্থীরা একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যে রেলিং ঘেরা একটা বারান্দা মতো জায়গার মেঝেতে আগুন ধরে গিয়েছে। সেই ভিডিয়োর সত্যতা অবশ্য যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। এদি এই ঘটনার পর এক টুইট করে ঘটনার নিন্দা জানান মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র। টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, 'শনিবার সান ফ্রান্সিসকোতে ভারতীয় কনসুলেটে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টার তীব্র নিন্দা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই দেশে কূটনৈতিক ভবন বা বিদেশি কূটনীতিকদের হামলা বা সহিংসতা একটি ফৌজদারি অপরাধ।'
উল্লেখ্য, এর কয়েক মাস আগেও সান ফ্রান্সিসকোর ভারতীয় কনসুলেটে হামলা চালিয়েছিল খলিস্তনিরা। মিছিল করে এসে ভারতীয় কনসুলেটের ওপর চড়াও হয়েছিল তারা। ব্যারিকেড ভেঙে কনসুলেট চত্বরে ঢুকে দু'টি খলিস্তানি পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। পরে সঙ্গে সঙ্গে দুই কনসুলেট কর্মী সেই খলিস্তানি পতাকা সরিয়ে দিয়েছিল। উল্লেখ্য, লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে হামলার দিনই সান ফ্রান্সিসকোর কনসুলেটে হামলার ঘটনা ঘটেছিল।
এদিকে কানাডাতেও ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে খলিস্তানিদের। ভ্যানকুভার এবং টরন্টোয় মিছিল করে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ দেখানোর কথা খলিস্তানিদের। উগ্রপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুর জন্য ভারতকে দায়ী করেই এই প্রতিবাদের আয়োজন। যদিও এই আবহে কানাডা সরকারকে পদক্ষেপ করতে বলেছে ভারত সরকার।