রাশিয়ার শেলিং-এর তেজ আরও বেড়ে গিয়েছে ইউক্রেনের বুকে। প্রায় ২ সপ্তাহ কাটতে চল পূর্ব ইউরোপের এই দেশের ওপর রুশ হামলা কার্যত তছনছ করে দিতে শুরু করেছে একেরপর এক শহরকে। মৃত্যু যন্ত্রণা, স্বজনহারাদের মাঝেই হহাকার শুরু হয়েছে জল, খাবার আর বিদ্যুতের জন্য। এদিকে, তারই মাঝে সেদেশে বসবাসরত ভারতীয়দের নিরাপদে ঘরে ফিরিয়ে আনতে যারপর নাই চেষ্টায় রত রাষ্ট্রদূতাবাস। এদিন কিয়েভে ভারতের রাষ্ট্রদূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন যেন ছাড়তে শুরু করেন আটকে পড়া ভারতীয়রা।
এদিন কিয়েভে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় ১০ টা নাগাদ একাধিক মানবিক 'করিডর' তৈরি করা হচ্ছে, সেই পথেই যেন ভারতীয়রা ইউক্রেন সত্ত্বর ছেড়ে দেন। রাষ্ট্রদূতাবাস জানিয়েছে, 'যা পরিস্থিতি রয়েছে তাতে আরও একটি হিউম্যানিটারিয়ান করিডর এখন অনিশ্চিত।' তাই সমস্ত ভারতীয় যাতে এই সুযোগের সদ্ব্যাবহার করে নিয়ে ইউক্রেন ছেড়ে দেন , তার আহ্বান জানিয়েছে দূতাবাস। অ্যাডভাইসারিতে জানানো হয়েছে, ট্রেন ও গাড়ির পথে পরিবহনের দ্রুততর মাধ্যম ব্যবহার করে তাঁরা যাতে, নিরাপদ স্থানে পৌঁছে যান।
এদিকে, এরই মাঝে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা জানিয়েছেন, মারিওপোলে ৩ লাখ ইউক্রেনের নাগরিককে পণবন্দি করে রেখেছে রাশিয়ার সেনা। তিনি এক টুইটে জানিয়েছেন, জলকষ্টে এক শিশু সেখানে মারা গিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, যুদ্ধাপরাধ যেন রাশিয়ার জোর জবরদস্তির স্ট্র্যাটেজি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়া যাতে ইউক্রেনের মানুষদের রেহাই দেয়। এদিকে জানা গিয়েছে, ভারতের ৬০০ জন সুমিতে এখনও আটকে রয়েছেন। শুধুমাত্র সেখান থেকে ৫৭০ জনকে রেহাই দেওয়া গিয়েছে। এঁদের পাশাপাশি, নেপাল, পাকিস্তান, টিউনিশিয়া, বাংলাদেশের ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।