এক বাংলাদেশি মহিলা দাবি করেছেন উত্তরপ্রদেশের নয়ডার বাসিন্দা এক যুবক বাংলাদেশে থাকাকালীন তাঁকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের যখন সন্তান হয় তখন সেই ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে আসে। ওই মহিলা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে চলে আসেন। এরপর ওই যুবকের বিরুদ্ধে তিনি পুলিশের কাছে নালিশ জানিয়েছেন। ওই মহিলার দাবি তাঁর নাম সোনিয়া আখতার । ওই অভিযুক্ত যুবকের নাম সৌরভকান্ত তিওয়ারি। ইসলামিক রীতি মেনে তাদের বিয়ে হয়েছিল। তিনি সেই স্বামীর খোঁজ পেতে সন্তান নিয়ে ভারতে চলে এসেছেন। পুলিশ এনিয়ে তদন্তে নেমেছে।
সোনিয়ার অভিযোগ, সৌরভ ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ছিলেন। তখনই তাদের মধ্যে আলাপ। এরপর ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল তাদের বিয়ে হয়। তাদের সন্তানও হয়েছিল। কিন্তু তারপরই বাংলাদেশ থেকে চলে আসে ওই যুবক। নয়ডায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই বাংলাদেশি মহিলা।
পুলিশ গোটা ঘটনাটি নারী ও শিশু সুরক্ষা দফতরের কাছে পাঠিয়েছে। এদিকে মহিলার দাবি, ভারতেও এক ইন্ডিয়ান মহিলাকে বিয়ে করেছেন ওই যুবক। তাদেরও সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ওই মহিলার দাবি যাচাই করে দেখছে। স্থানীয় পুলিশ পিটিআইকে জানিয়েছে, ওই মহিলা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে এসেছেন। ওই যুবক ভারতের কোনও বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তার খোঁজ করা হচ্ছে। ওই মহিলার সমস্ত দাবি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই মহিলা দাবি করেছেন সৌরভ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এরপর তিনি বিয়ে করেন। ঢাকাতে তাদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সন্তান হওয়ার পরেই তিনি বাংলাদেশ ছেডে়, বৌ বাচ্চা ফেলে রেখে পালিয়ে আসেন ভারতে।
এদিকে এই ঘটনার সঙ্গে অনেকে আবার নয়ডার সচিন-সীমার ঘটনার মিল খুঁজে পাচ্ছেন। সেখানে বিয়ে করতে সন্তান নিয়ে নয়ডায় চলে এসেছিলেন সীমা হায়দার। একেবারে পাকিস্তান থেকে তিনি ভারতে চলে আসেন। তবে সেখানে অবশ্য প্রতারণার কোনও ব্যাপার ছিল না। সেখানে কেবলমাত্র প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে তিনি ভারতে চলে এসেছিলেন। এখানে তিনি প্রেমিক সচিন মিনাকে বিয়েও করেছেন।