ব্রিটেনের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ঋষি সুনক। এই ইতিহাস গড়ার দিনে ভারতীয় রাজনীতিকরা নিজের দেশকে ‘শিক্ষা নেওয়ার’ বার্তা দিলেন। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর, পি চিদাম্বরম থেকে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র ঋষি ইস্যুতে টুইট করেন। ব্রিটেন প্রথম হিন্দু প্রধানমন্ত্রী পেতেই বিজেপির নাম না করে তোপ দাগেন ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, মহুয়া মৈত্ররা।
চিদাম্বরম টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আগে কমলা হ্যারিস, এখন ঋষি সুনক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ এবং ব্রিটেন তাদের দেশের সংখ্যালঘু নাগরিকদের আলিঙ্গন করেছে এবং তাদের সরকারে উচ্চ পদে নির্বাচিত করেছে। আমি মনে করি ভারত এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদ চর্চা কারা দলগুলোর শেখা উচিত এর থেকে।’ একই সুরে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইট করে লেখেন, ‘একজন ব্রিটিশ এশিয়ানকে ১০ নম্বরে নির্বাচিত করায় আমার দ্বিতীয় প্রিয় দেশ ব্রিটেনের জন্য আমি গর্বিত। ভারতও যেন আরও সহনশীল হয়ে ওঠে। সমস্ত ধর্ম যাতে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে এখানে।’
এদিকে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আমাদের সকলকে স্বীকার করতেই হবে যে ব্রিটিশরা বিশ্বের সবচেয়ে বিরল ঘটনা ঘটিয়েছে। দেশের সংখ্যালঘু সদস্যকে সবচেয়ে শক্তিশালী অফিসে বসানো হচ্ছে। আমরা ভারতীয়রা যখন ঋষি সুনকের এই পদ প্রাপ্তি নিয়ে উদযাপন করছি, তখন সততার সাথে জিজ্ঞাসা করুন তো: এটা কি এখানে ঘটতে পারে?’
এদিকে দিল্লি বিজেপর প্রধান আদেশ গুপ্তা টুইট করে লেখেন, ‘একটি ঐতিহাসিক দিন! ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য ঋষি সুনককে অভিনন্দন। ব্রিটেনের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী তিনি। বিশ্বজুড়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত লোকেরা আপনার জন্য গর্বিত।’ এদিকে আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডা টুইট করে লেখেন, ‘আজ, যখন ভারত একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে ৭৫তম বছরে দীপাবলি উদযাপন করছে, ব্রিটেনে তখন একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ইতিহাস পুরো বৃত্ত সম্পূর্ণ করল। ঋষি সুনককে অভিনন্দন এবং শুভ দীপাবলির শুভেচ্ছা!’
এদিকে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে সোমবার শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। মোদী টুইট করে লেখেন, ‘ঋষি সুনককে অভিনন্দন। আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আমরা একসঙ্গে কাজ করব। একসঙ্গে ২০৩০ রোডম্যাপকে বাস্তবায়িত করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের ‘সেতুবন্ধনকে’ দীপাবলির শুভেচ্ছা। ঐতিহাসিক বন্ধনকে আমরা আধুনিক অংশীদারিত্বে পরিণত করব।’