সিরাপ ওষুধ খেয়ে কিডনি বিকল। আর তার জেরেই চলতি বছরে ৯৯ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু। ঘটনার তদন্তে নেমেছে সেই দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আর সেই ঘটনারই প্রেক্ষিতে, বৃহস্পতিবার সমস্ত সিরাপ-ভিত্তিক ওষুধের বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ইন্দোনেশিয়া। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। আরও পড়ুন: Maiden Pharma on Cough Syrup Deaths: কাশির সিরাপ খেয়ে গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু নিয়ে অবশেষে মুখ খুলল মেডেন ফার্মা
বিশেষত শিশুদের জ্বর নিরাময়ের জন্য স্থানীয়ভাবে ব্যবহৃত প্যারাসিটামল সিরাপগুলি ভাল করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই সিরাপগুলি 'ডায়েথিলিন গ্লাইকোল' এবং 'ইথিলিন গ্লাইকল' মিলেছে। কিন্তু এই ওষুধে এই উপাদান থাকার কথা নয়। বা, থাকলেও খুবই কম পরিমাণে থাকার কথা।
সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার গাম্বিয়ায় প্যারাসিটামল সিরাপে ৭০ জন শিশুর মৃত্যু হয়। সেক্ষেত্রেও এই প্যারাসিটামল সিরাপই মূল কারণ ছিল। সিরাপগুলি তৈরি করেছে নয়াদিল্লি-ভিত্তিক মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
দেশীয় সংস্থার তৈরি করা শুনেই ঘুম উড়ে যায় ভারতীয় ওষুধ বিক্রেতা ও ক্রেতাদের। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায়, মেডেন ফার্মার কাছে এই ওষুধ শুধুমাত্র রফতানি করারই অনুমোদন ছিল। তাই দেশের বাজারে তাদের সরবরাহ নেই। মেডেন ফার্মা যদিও বিষয়টির তদন্তে নেমেছে বলে জানিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, কিছু রোগীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা ওষুধে ইথিলিন গ্লাইকোল এবং ডাইথিলিন গ্লাইকোল সনাক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন এমনটাই জানান। তবে তার সংখ্যা কত, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। আরও পড়ুন: গাম্বিয়ায় মৃত্যুতে ‘দায়ী’ কাফ সিরাপ নিয়ে ভারতে চিন্তার কিছু নেই, দাবি বিশেষজ্ঞের
'পাঁচ বছরের কম বয়সী AKI শিশু রোগীদের ব্যবহৃত কিছু সিরাপে ইথিলিন গ্লাইকোল এবং ডাইথাইলিন গ্লাইকোল মিলেছে। কিন্তু এই ওষুধে এই উপাদান থাকার কথা নয়। বা, থাকলেও খুবই কম পরিমাণে থাকার কথা,' জানান তিনি।