ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ঘিরে এবার উঠে এল নাশকতার ছকের জল্পনা। ‘দ্যা জেরুজালেম পোস্ট’এর খবর অনুযায়ী, ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের সময় ইরান হামলা চালানোর চেষ্টা করতে পারে, এমনই দাবি করছে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতার। এই বিশ্বকাপের ম্যাচ বয়কটের ডাক ইতিমধ্যেই দিয়েছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়দা। প্রসঙ্গত, এই মরুদেশে বহু বিতর্কের মাঝে শুরু হয়েছে ফুটবলের মহারণ। এদিকে, তারই মাঝে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনি দাবি করেছে, কীভাবে কাতার ইরানের এই সম্ভাব্য হামলাকে রপখে দিতে তৎপরতা নেবে, তার ওপরেই নির্ভর করছে এই হামলা ঘটা বা না ঘটার বিষয়টি। তেল অবিবে একটি কন্ফারেন্সে মেজর জেনারেল আহারোন হালিভা বক্তব্য রাখার সময় ফিফা বিশ্বকাপে এই হামলার ঘটনার সম্ভাবনার উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গত, ইরানের জাতীয় ফুটবল দল এই বিশ্বকাপের অংশ। যে ৩২ টি দল এই বিশ্বকাপে খেলছে সেখানে রয়েছে হিজাব বিতর্কে জেরবার ইরান। যে ইরানের দাবি, সেদেশের হিজাব বিতর্ক সম্পূর্ণ আমেরিকার সৃষ্ট একটি ষড়যন্ত্র। এদিকে, ইজারেয়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মেজর জেনারেল হালিভা বক্তব্য রাখছিলেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের একটি কনফারেন্সে। সেখানেই তিনি বলেন যে, ‘শুধু একটি মাত্র জিনিস’ যা ইরানকে এই হামলা থেকে রুখতে পারে, তা হল কাতারের তৎপরতা।
প্রসঙ্গত, ইরান জুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের ঝড় দেখা গিয়েছে সদ্য মাহাসা আমিনি নামের ২২ বছরের তরুণীর মৃত্যু ঘিরে। সেপ্টেম্বরের হিসাব বিরোধিতায় নেমে ওই প্রতিবাদীর মৃত্যু হয় প্রশাসনিক হেফাজতে। যদিও খামেনির অধীনে থাকা ইরান দাবি করেছে, যে আমিনি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন, গ্রেফতারির পর তাঁর শরীর খারাপ হওয়াতে তিনি মারা যান। তবে তা মানতে গড়রাজি গোটা ইরান। খেলাধুলো থেকে চলচ্চিত্র সমেত সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ নামেন প্রতাবাদে। মৃত্যু হয় শতাধিকের। এরপর নতুন করে উঠে আসছে এই আশঙ্কা বার্তা।