রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও সরকারিভাবে জানানো হয়নি। ধনখড় পুরো বিষয়টিকে ‘সৌজন্য’ সাক্ষাৎ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে কোবিন্দের সঙ্গে দেখার কথা ছিল ধনখড়। তারপর বেলা ১২ টা ৩০ মিনিট নাগাদ রাইসিনা হিলস থেকে বেরিয়ে যান। পরে টুইটারে ধনখড় জানান, ‘সৌজন্য’ সাক্ষাতের জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছেন। তবে সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃ্ঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে পারেন ধনখড়। রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়েও আলোচনা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা চলছে।
মঙ্গলবার রাতের দিকে দিল্লি পৌঁছান রাজ্যপাল। বুধবার কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর দেখা করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন অরুণ কুমার মিশ্র এবং লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার সঙ্গে। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃ্ঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন ধনখড়।
এমনিতে সোমবার রাজভবনে ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বিজেপির বিধায়করা। ছিলেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজভবনের বারান্দায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নালিশ করেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। পরে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন পরবর্তী রাজ্যের একাধিক জায়গায় অশান্তি হয়েছে। সেই জায়গাগুলিতে কেন মুখ্যমন্ত্রী গেলেন না? বাংলায় গণতন্ত্র নিঃশ্বাস নিতে পারছে না। পশ্চিমবঙ্গে হিংসার তাণ্ডবনৃত্য চলছে। আমি রাজ্য প্রশাসনকে আবার বলছি, নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন। যা হচ্ছে, তা পৃথিবীর কোনও জায়গায় হয় না।’ পরে টুইটারেও সরব হন রাজ্যপাল। সেইসঙ্গে মনে করিয়ে দেন, অন্যান্য রাজ্যের মতো এই রাজ্যেও দলত্যাগ বিরোধী আইন বলবৎ রয়েছে।