২০১৪ সালে চালু হয়েছিল জনধন অ্যাকাউন্ট স্কিম। এবার সেই প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। গতকাল এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে প্রক্তন এই আমলা অভিযোগ করেন ১০ কোটিরও বেশি জনধন অ্যাকাউন্ট নাকি 'খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না'। এই আবহে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছেন। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারকে এই নিয়ে মুখ খুলতে বলেছেন জহর সরকার। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৮ অগস্ট চালু করা হয়েছিল এই প্রকল্পটি। প্রত্যন্ত এলাকাতে গরিবদের কাছেও ব্যাঙ্কির পরিষেবা পৌঁছে দিতেই এই প্রকল্পের সূচনা বর্তমানে ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। (আরও পড়ুন: 'নিজের আত্মাকে খুঁজে বের করুন', বিল সই না করা নিয়ে রাজ্যপালদের বার্তা SC-র)
নিজের পোস্টে জহর সরকার লেখেন, '৫০ কোটি জনধন অ্যাকাউন্টের মধ্যে থেকে ১০ কোটি অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না গত ১১ মাস ধরে। এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নীরব কেন আছেন? সরকারের ৪০ হাজার কোটি টাকা কী এমনি এমনি ব্যাঙ্কে পড়ে আছে। এই বিষয়টি মেনে নিন বা নাকচ করুন।' এই পোস্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে ট্যাগ করেন জহর সরকার। সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রীকে লেখা নিজের একটি চিঠির স্ক্যান কপিও পোস্ট করেন তৃণমূল সাংসদ।
চিঠিতে জহর সরকার লিখেছেন, '২০২২ সালের ১২ জিসেমবর থেকে আমি অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখছি। আমি তাঁর কাছ থেকে জানতে চাই, ১০ কোটিরও বেশি জনধন অ্যাকাউন্টের সুবিধাভোগীদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করা হচ্ছে। এই কথা কি সঠিক? ২০২৩ সালের ২৪ জুলাইও আমি আমার এই প্রশ্নটি মনে করিয়ে দিয়েছিলাম কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে। পরে ২১ অগস্ট আবারও আমার প্রশ্নটি তাঁর সমনে তুলে ধরেছিলাম আমি।'
এরপর চিঠিতে জহর সরকার আরও লেখেন, 'এই সরকার কি এটা মেনে নিচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার ৫০ কোটির মধ্যে থেকে ১০ কোটি অ্যাকাউন্ট ভুয়ো? নাকি সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করছে? এর অর্থ কি এটা না যে এই স্কিমের অধীনে সরকারের ৪০ হাজার কোটি টাকা অব্যবহৃত অবস্থায় ব্যাঙ্কে পড়ে রয়েছে। এতে না দেশের কল্যাণ হচ্ছে না দেশের জনতার। গত ১১ মাস ধরে সরকার এই বিষয়ে নীরব। তাই আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। আমি চাই যাতে এই বিষয়টা নিয়ে সরকার স্পষ্ট কোনও বার্তা দিক।'