নতুন সংবিধান রচনার পক্ষে সওয়াল তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর, সরগরম রাজনীতি

নতুন করে সংবিধান রচনা ইস্যুতে কে চন্দ্রশেখর রাও বলেন, 'ভারতের প্রয়োজন সম্পূর্ণ নতুন একটি সংবিধানের খসরা। যার সঙ্গে মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার মিল থাকবে। আর নিশ্চিত করতে হবে সর্বশক্তি দিয়ে দেশের সার্বিক উন্নতি। নতুন সংবিধান প্রয়োজন যাতে কেন্দ্র রাজ্যের ক্ষমতা না কেড়ে নিতে পারে।'

তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। ছবি সৌজন্য–এএনআই।

যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর আসল সত্ত্বাকে তুলে ধরতে নতুন করে দেশের সংবিধান লেখার পক্ষে সওয়াল করেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা টিআরএস নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও। তাঁর এই নয়া দাবি ঘিরে বিরোধীপক্ষ যেমন সরব হয়েছে, তেমনই সরব হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন দলিত সংগঠন। উল্লেখ্য, ২০২২ বাজেট প্রসঙ্গে তাঁর ক্যাম্প অফিস প্রগতি ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় এই বার্তা দেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী।

নতুন করে সংবিধান রচনা ইস্যুতে কে চন্দ্রশেখর রাও বলেন, 'ভারতের প্রয়োজন সম্পূর্ণ নতুন একটি সংবিধানের খসরা। যার সঙ্গে মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার মিল থাকবে। আর নিশ্চিত করতে হবে সর্বশক্তি দিয়ে দেশের সার্বিক উন্নতি। নতুন সংবিধান প্রয়োজন যাতে কেন্দ্র রাজ্যের ক্ষমতা না কেড়ে নিতে পারে।' উল্লেখ্য, এর আগেই আইএএস ক্যাডার রুলে কেন্দ্রের প্রস্তাবিত সংস্কার নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কে চন্দ্রশেখর রাও। এই মর্মে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠিয়েছেন। এদিকে, তার পাশাপাশি সংবিধানে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সমান ক্ষমতার বার্তা আরও স্পষ্ট করেছেন কেসিআর। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বহুবার বদলেথে তাদের সংবিধাবন। তিনি বলেন, 'ভারতও ৮০ বার নিজের সংবিধানে সংস্কার এনেছে। যদিও মানুষের ন্যূনতম প্রয়োজনকে মেটাতে তা সক্ষম হয়নি। যার মধ্যে রয়েছে সেচ, বিদ্যুৎ ও পানীয় জল। এটা আর কতদিন ধরে চলবে?' কেসিআরএর দাবি, এই ইস্যুতে একটি ডিবেট হওয়া উচিত। তিনি বলেন, ' আমি পঞ্চাশ বছর রাজনীতি করছি। আমি জানি আমি বিধায়ক, সাংসদ, মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি শুধু এই সংবিধানের (নিয়মের) ওপর নির্ভর করে। তাতেও আমি জোর গলায় বলতে চাই সংবিধান নতুন করে লেখা উচিত।'

এদিকে, কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বক্তব্য ঘিরে সমালোচনায় মুখর হয়েছে তেলাঙ্গানা কংগ্রেসের নেতারা। কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ রেবন্ত রেড্ডি বলেন, তেলাঙ্গানার তপশিলী জাতি, উপজাতির মানুষদের অধিকার থেকে চ্যূত করতেই এমন ষড়যন্ত্র করছেন কেসিআর। রেড্ডির মতে,' সংবিধানে কোনও পরিবর্তন প্রয়োডন হলে তা সংস্কার করা যায়, তবে পুরো সংবিধানকে নতুন করে লেখার প্রস্তাবে ডক্টর আম্বেদকরের প্রতি অশ্রদ্ধা ও হিংসার প্রদর্শন করেছেন কেসিআর।' এদিকে, তেলাঙ্গানার দলিত সংগঠনগুলি দাবি করেছে কেসিআর-এর নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা। এছাড়াও তেলাঙ্গানা ভিম আর্মি ও অল ইন্ডিয়া আম্বেদকর ভিম অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে,'অবিলম্বে নিজের মন্তব্যকে তুলে নিতে হবে কে চন্দ্রশেখর রাওকে।'