বেঙ্গল লাইনের পথে এখনই হাঁটতে চাইল না কেরল লাইন। বয়সের সীমাবদ্ধতায় নেতৃত্বকে বেঁধে ফেলতে চায় দল। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে সিপিআইএমে এখন থেকে অবসরের বয়স ৭৫। দলের রাজ্য নেতৃত্ব এখনই কমিটিতে ঠাঁই পাওয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল না। তিরুঅনন্তপুরমে অনুষ্ঠিত দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে আসন্ন সাংগঠনিক সম্মেলন নিয়ে আলোচনা হলেও এই ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্য হয়নি।
সিপিআইএম পলিটব্যুরোয় ১৭ জন সদস্যের মধ্যে সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তির নাম এস রামচন্দ্রন পিল্লাই। তাঁর বয়স ৮৩ বছর। কনিষ্ঠ বাংলার মহম্মদ সেলিম ও নীলোৎপল বসু। এই দু’জনেরই বয়স ৬৪ বছর। আর কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের বয়স এখন ৭৬ বছর। আশিতে বিমান বসু–সহ অন্যান্যরা। দলের নেতৃত্বে বৃদ্ধতন্ত্র নিয়ে সিপিআইএমের বঙ্গ–ব্রিগেডের দিকে আঙুল অনেকদিন ধরেই উঠেছিল।
কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পাওয়ার বয়সসীমা ৭৫ বছর ধার্য হওয়ার পর আলিমু্দ্দিনের কর্তাদের টনক নড়ে। সদ্য সমাপ্ত রাজ্য কমিটির বৈঠকে অনেক আপত্তি উঠলেও শেষমেশ এখানেও বয়সসীমা চূড়ান্ত করেছেন তাঁরা। রাজ্য, জেলা এবং এরিয়া কমিটির জন্য এই সীমা যথাক্রমে ৭২, ৭০, ৬৫ বছর ধার্য হয়েছে। বাংলার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সকলের দৃষ্টি ছিল কেরলের নেতৃত্ব এই বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় তার দিকে। কিন্তু আপাতত একেজি ভবনের কর্তাব্যক্তিরা সেই পথে হাঁটেননি।
তবে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্তগুলি মৌখিক না লিখিতভাবে নেওয়া হবে সেটা স্পষ্ট হয়নি। এই বয়সসীমা বাঁধার হিসেবনিকেশে বাংলার জেলা বা এলাকার সিপিআইএমের পরিচিত মুখ বাদ পড়বে তা একপ্রকার নিশ্চিত।সূত্রের খবর, বিমানবাবুর মতো নেতাকে অবসরে পাঠাতে চায় না রাজ্য সিপিআইএম। যদিও বিমানবাবু নিজে মনে করেন, নিয়ম সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। অন্যদিকে কেরল সিপিআইএমের ভারপ্রাপ্ত রাজ্য সম্পাদক এ বিজয়রাঘবন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কমিটির সদস্যদের বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারে আমরা এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। এই নিয়ে হাতে অনেক সময় আছে। সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ব্রাঞ্চ কমিটির সম্মেলন শুরু হবে। তার মধ্যে রাজ্য কমিটি নিশ্চয়ই সিদ্ধান্ত নেবে।’