চিকিৎসায় জন্য বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার আবেদন খারিজ করে দিল বাংলাদেশ সরকার।বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, জেলবন্দি দোষী সাব্যস্ত কাউকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি বাংলাদেশের আইনে নেই।
দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়ার ১৭ বছরের জেল হয়।তবে গত এপ্রিলে তাঁর করোনা হওয়ায় তাঁকে সাময়িকভাবে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।এখন অবশ্য তিনি করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। তবুও তাঁকে এখনও হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য আবেদন জানানো হয়। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রক বিষয়টি খতিয়ে দেখে। এরপর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘একজন জেলবন্দি আসামির বিদেশে যাওয়ার আইনত অনুমতি নেই।’
খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান তথা জিয়ার ডক্টর এজেডএম জাহিদ হুসেন জানান,‘খালেদা জিয়ার তৃতীয়বার করোনা পরীক্ষা হয়েছে।তাতে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে এখনও তাঁকে করোনা পরবর্তী কিছু চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে থাকতেই হচ্ছে।’ জিয়ার পারিবারিক চিকিৎসকের মতে, খালেদা জিয়ার ব্লাড সুগার মাত্রাতিরিক্ত। বাতেরও সমস্যা রয়েছে। এইসব কিছুই তাঁকে এখন ভোগাচ্ছে। তবে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগির জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া ক্রমশই সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে তাঁকে এখন বেশ কয়েকদিন ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে থাকতে হবে। জেলে থাকার কারণে ও বয়সের কারণে তাঁর নানা শারীরিক সমস্যা বাসা বেঁধেছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।এরপর তাঁর শ্বাসকষ্ট মারাত্মক আকার নেওয়ায় গত ২৭ এপ্রিল তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়।গত ৩ মে থেকে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে রয়েছেন তিনি।