বাংলাদেশে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে কলকাতা থেকে ঢাকার যোগাযোগে প্রভূত উন্নতি হবে। মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় কলকাতা থেকে রেলপথে ঢাকা পৌঁছতে পারবেন যাত্রীরা। এমনই আশার কথা শোনালেন সেদেশের রেল দফতরের এক আধিকারিক। আগামী বছর এই পথে যাতায়াত শুরুর ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পদমর্যাদার ওই আধিকারিক।
বাংলাদেশে জোর কদমে চলছে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ। প্রায় ৬.২ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর এক প্রান্তে রয়েছে মাওয়া, অন্যপ্রান্তে জানজিরা। চলতি বছরই উদ্বোধন হতে পারে সেতুর। এই সেতুর ওপরের তল দিয়ে চলবে যানবাহন। নীচের তল দিয়ে চলবে ট্রেন। সংযোগ সম্পূর্ণ হলেই এই পথ দিয়ে চলাচল করবে ঢাকা - কলকাতা সংযোগকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস।
বাংলাদেশে রেলওয়ের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, বর্তমানে কলকাতা থেকে রেলপথে ঢাকা আসতে ৪০০ কিলোমিচার পথ পাড়ি দিতে হয়। কলকাতা স্টেশন থেকে গেদে - দর্শনা হয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় ১০ ঘণ্টা। সড়কপথে তো গোটা দিন কাবার হয়ে যায় পদ্মার ওপর ফেরি পারের অপেক্ষায়। নতুন সেতু চালু হলে কলকাতা থেকে ঢাকার রেলপথে দূরত্ব কমে হবে ২৫০ কিলোমিটার। তখন বনগাঁ - পেট্রাপোল হয়ে চলাচল করবে ট্রেনটি। যার ফলে মাত্র ৩.৩০ মিনিটেই কলকাতা থেকে পৌঁছনো যাবে ঢাকায়।
পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করতে বিশেষভাবে তৎপর বাংলাদেশের হাসিনা সরকার। এই সেতু উদ্বোধন হলে দেশের পূর্বাঞ্চলের অর্থনৈতিক ছবি বদলে যাবে বলে দাবি তাদের। চিনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সেতুটি বানাচ্ছে বাংলাদেশ।